ইউরোপের সীমান্ত খুললেও শেনজেন ভিসা পাবেন না বাংলাদেশিরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত জুলাইয়ের শুরু থেকে আংশিক উন্মুক্ত হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের ভিত্তিতে প্রথম দফা মাত্র ৫৪টি দেশের নাগরিকদের শেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন বলে এক খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অনুমোদিত দেশের এই তালিকায় নেই বাংলাদেশ। এছাড়া বাদ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ইউরোনিউজের এক প্রতিবেদনে এই খসড়া তালিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

germany-schengen-visa

সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কর্মকর্তারা সীমান্ত পুনরায় খুলে দেওয়ার পর যেসব দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে তা নিয়ে পুরোপুরি একমত হতে পারেননি। তবে খসড়া এই তালিকা করা হয়েছে মহামারি পরিস্থিতির ভিত্তিতে। যে ৫৪টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে তারা আগামী সপ্তাহ থেকে এই সুবিধা পাবেন।

ইউরো নিউজের প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুসারে, ব্রাজিল, কাতার, যুক্তরাষ্ট্রও এই ৫৪টি দেশের তালিকাতে নেই। সূত্র জানিয়েছে, দেশগুলোতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাদের নাগরিকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মাত্র দুটি দেশ রয়েছে– ভারত ও ভুটান।

খসড়া তালিকা অনুসারে যেসব দেশের নাগরিকদের সেনজেন ভিসা দেওয়া হবে সেগুলো হলো, ভ্যাটিকান সিটি, মোনাকো, মনটেনেগ্রো, আন্দোরা, সার্বিয়া, বসনিয়া হার্জেগভনিয়া, ইউক্রেন, আলবেনিয়া, তুরস্ক, কসোভো, দক্ষিণ কোরিয়া, তুর্কমেনিস্তান, ভিয়েতনাম, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, মঙ্গোলিয়া, জাপান, উত্তর কোরিয়া, জর্জিয়া, ভুটান, লেবানন, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান, ভারত, তাজিকিস্তান, কাজাখাস্তান, পালাউ, নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ডোমিনিকা, বাহামাস, সেন্ট লুসিয়া, উরুগুয়ে, জ্যামাইকা, কিউবা, ঘানা, প্যারাগুয়ে, ভেনেজুয়ালা, নিকারাগুয়া, কোস্টা রিকা, কানাডা, আঙ্গোলা, তিউনিসিয়া, নামিবিয়া, উগান্ডা, মোজাম্বিক, মৌরিতাস, জাম্বিয়া, রুয়ান্ডা, ইথিওপিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া ও মিসর।

আনুষ্ঠানিকভাবে এই সপ্তাহের শেষ দিকে তালিকাটি প্রকাশ করা হতে পারে এবং ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, এই তালিকা প্রতিটি দেশের মহামারি পরিস্থিতির পরিবর্তন সাপেক্ষে হালনাগাদ করা হবে।

773x435_cmsv2_a967e7e5-84d7-52d5-9f3c-5ec0b69ed663-4769560

১১ জুন ইউরোপীয় কমিশন ১৫ জুন থেকে সেনজেনের অভ্যন্তরীণ সীমান্ত খুলে দেওয়ার সুপারিশ করে যাতে করে ইউরোপীয়রা অবাধ যাতায়াত করতে পারে। যেমনটি ছিল মহামারির আগে।

উল্লেখ্য, শেনজেন হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাসপোর্ট-ফ্রি জোন। এই জোনে কোনও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নেই। এই জোনের দেশগুলো হলো- অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাতভিয়া, লিচেটেনস্টেইন, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালটা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড। এসব দেশের যেকোনও ব্যক্তি শেনজেনভুক্ত এলাকার যেকোনও দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।