জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বেলারুশের হুঁশিয়ারি

বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বেলারুশ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিমাদের উদ্বেগ আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু না। মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এখবর জানিয়েছে।

BB19sln2

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বেলারুশে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমাতে সরকার ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে। রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেন বেলারুশের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব এনেছে।

জাতিসংঘের ভার্চুয়াল সাধারণ অধিবেশনে বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই বিশ্বনেতাদের বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ, নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপের ফল বিপরীত হবে। এমন উদ্যোগ সবার ক্ষতিকর হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অংশীদারদের বিচক্ষণতা, সহিষ্ণুতা ও নিরপেক্ষ মনোভাবের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

গত ৯ আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিগত ২৬ বছর ধরে বেলারুশের ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। গত রবিবারও দেশটির রাজধানী মিনস্কের রাজপথে বিক্ষোভ করেছে অন্তত এক লাখ মানুষ। এছাড়াও একই দিন দেশটির আরও বেশ কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। বেলারুশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ৭৭৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে কেবল রাজধানী থেকেই গ্রেফতার হয়েছে অন্তত পাঁচশ’ জন।

বিতর্কিত নির্বাচন আর বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নিষ্ঠুর নিপীড়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছেন বেলারুশের নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। এমন পরিস্থিতিতে বেলারুশ পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখেন জোটটির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে পরিস্থিতি পরিষ্কার। আমরা মনে করি গত ৯ আগস্টের নির্বাচন ছিলো প্রতারণাপূর্ণ। আমরা লুকাশেঙ্কোকে বেলারুশের বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করি না।’