৩০ বছর ছেলেকে বন্দি রাখার অভিযোগে মা গ্রেফতার

দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ছেলেকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগে সুইডেনে এক মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কিশোর বয়সে নিজের ছেলেকে তিনি বাড়িতে বন্দি করেন। এখন সেই ছেলের বয়স ৪১। দীর্ঘদিনের বন্দিদশায় অপুষ্টিতে ভুগে রুগ্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তবে গ্রেফতার হওয়া মা তার ছেলেকে বন্দি করে রাখা এবং তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার কথা অস্বীকার করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

_115753693_policeepa

খবরে বলা হয়েছে, সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের হেনিঞ্জ শহরতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে ওই ব্যক্তি বন্দি ছিলেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির যখন ১২-১৩ বছর বয়স, সেই সময় আচমকাই একদিন স্কুল ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন তার মা। সেই থেকে আর কখনও তাকে দেখা যায়নি।

রবিবার ওই ব্যক্তির ৭০ বছর বয়সী মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার খোঁজ নিতে গিয়ে হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে দেখে চমকে যান তাদের এক আত্মীয়। সংক্রমণ থেকে পায়ে পচন ধরেছে ওই ব্যক্তির। ঠিকমতো পা ফেলে হাঁটতে পারছেন না। একটাও দাঁত অবশিষ্ট নেই। মুখফুটে একটি কথাও বেরোচ্ছে না। তার এমন অবস্থা দেখে ওই আত্মীয় চিকিৎসকদের বিষয়টি জানান। তারাই পুলিশে খবর দেয়।

স্টকহোমের হ্যানিঞ্জ এলাকায় এই ফ্ল্যাটটি এখন পুলিশ তদন্তের স্বার্থে সিল করে দিয়েছে। সেখানে আসলে কী ঘটেছিল তা জানতে পুলিশ সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছে। স্টকহোম পুলিশের মুখপাত্র ওলা ওস্টারলিং বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ, ওই নারী বেআইনিভাবে নিজের ছেলেকে স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রেখেছিলেন। শারীরিক নির্যাতনও চালানো হয়েছে।’

দীর্ঘদিন ওই ব্যক্তিকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে মেনে নিলেও, ২৮ বছরের সময়কাল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি।

পুলিশের অপর এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, লোকটিকে কতদিন বন্দি করে রাখা হয়েছিল, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে আমাদের ধারণা, খুব দীর্ঘ সময় তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।