নরওয়েতে ফাইজারের ভ্যাকসিন নেওয়া দুজনের মৃত্যুতে তদন্ত

ফাইজার-বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর নার্সিং হোমের দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। নরওয়ের মেডিসিন্স এজেন্সি ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথ মৃত্যুর ঘটনা দুটি তদন্ত শুরু করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ ইন্ডিয়া এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় শঙ্কিত বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা। ফাইজারের ভ্যাকসিন নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক দিন আগে পর্তুগালেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক শিশু চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার দু’দিন পরে।

নরওয়ের মেডিসিন্স এজেন্সি’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার কয়েক দিনের মাথায় দুজনের মৃত্যুর খবর আমরা ৫ জানুয়ারি পেয়েছি। বৃদ্ধাশ্রমের এই দুই বাসিন্দা ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন।

সংস্থাটির মেডিক্যাল ডিরেক্টর স্টেইনার ম্যাডসেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে ভ্যাকসিনের কারণেই কি মৃত্যু হয়েছে? নাকি পুরো ব্যাপারটাই কাকতালীয়?

তবে তিনি আরও জানান, অনেক বয়স্ক মানুষ ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। যেহেতু, তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোনও ঘটনার কথা জানা যায়নি, তাই সম্ভবত এই দু’জনের মৃত্যু কাকতালীয়ই।

মৃত্যুর ঘটনা দুটি যৌথভাবে তদন্ত করছে নরওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবর অনুসারে, শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ৪১ বছরের নার্স সোনিয়া আসেভেডো নিজেদের আকস্মিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা আগে তিনি ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন।