ইউরোপের রাজনীতিকদের ওপর মার্কিন গোয়েন্দাগিরি, সব জানতেন বাইডেন

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ ইউরোপীয় রাজনীতিবিদদের তথ্য সংগ্রহে মার্কিন গোয়েন্দাদের ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সহায়তা করেছে ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থা। ডেনিস সম্প্রচারমাধ্যম ডেনমার্কস রেডিওর খবরে বলা হয়েছে, তথ্য সংগ্রহে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে (এনএসএ) সহায়তা দিয়েছে ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এফই)। জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন এবং নরওয়ের কর্মকর্তাদের ওপর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মার্কিন হুইসেলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেন দাবি করেছেন, এসব ঘটনার পুরোটাই জানতেন তৎকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০১৩ সালেও একই ধরনের অভিযোগ সামনে আসে। ওই সময়ে মার্কিন হুইসেলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেন অভিযোগ তোলেন জার্মান চ্যান্সেলরের ফোনে আড়ি পেতেছে এনএসএ। ওই সময়ে হোয়াইট সরাসরি এই অভিযোগ অস্বীকার করেনি। তবে বলা হয়েছিলো আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ফোনে অতীতেও আড়ি পাতা হয়নি, আর ভবিষ্যতেও করা হবে না।

নয়টি সূত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে ফোনে আড়ি পাতার তথ্য সামনে নতুন করে সামনে এনেছে ডেনিস সম্প্রচারমাধ্যম ডেনমার্কস রেডিও। সবগুলো সূত্রই জানিয়েছে, ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা এফই-এর গোপন তথ্যে তাদের প্রবেশাধিকার ছিলো। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ তৎকালীন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ওয়াল্টার স্টেইনমিয়ার এবং ওই সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা পিয়ার স্টেইনব্রাককেও তখন লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়।

ওই খবরে বলা হয়েছে, গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর তথ্য আগে থেকেই জানতেন ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রায়ান ব্রামসেন। তবে তিনি ডেনমার্কস রেডিওকে বলেছেন, ‘কাঠামোগতভাবে ঘনিষ্ট মিত্রদের টেলিফোনে আড়িপাতা গ্রহণযোগ্য নয়।’ এফই কিংবা এনএসএ কোনও সংস্থায় সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

রবিবার ডেনমার্কস রেডিও খবর প্রকাশের পর হুইসেলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেন অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম থেকেই এই কেলেংকারির ঘটনা জানতেন। ওই নজরদারি যখন চালানো হয় তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের  কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র সাবেক কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্লোডেন ২০১৩ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ফোনে আড়িপাতা ও ইন্টারনেট নজরদারির বিপুল তথ্য ফাঁস করে দেন। তৎকালীন মার্কিন সরকার তার বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি চুরির অভিযোগ আনে। পরে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন স্নোডেন।