বেলারুশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানডাসহ ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা

মানবাধিকার লঙ্ঘন, মৌলিক স্বাধীনতা হরণ এবং আন্তর্জাতিক আইনকে আক্রমণ করায় বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। একই সঙ্গে মিনস্ককে নিজ দেশের নাগিরকদের দমন-পীড়ন বন্ধ করতে আহ্বান জানানো হয়। সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

বিবৃতিতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেনকোর সরকারের বিরুদ্ধ নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়। নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর সহিংসতা, নিপীড়ন, রায়ানএয়ারের বাণিজ্যিক ফ্লাইট জোর করে অবতরণ করানো এবং সাংবাদিক প্রোতেসেভিচকে গ্রেপ্তারের জবাবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ’

ইইউ জানিয়েছে, বেলারুশের প্রতিরক্ষা এবং পরিবহন মন্ত্রী বিমান বাহিনীর কমান্ডার, বিচারক ও আইনপ্রণেতাদের পাশাপাশি ৭৮ জনের সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে বেলারুশের একশ ৬৬ ব্যক্তির ওপর ইইউ’র বিধিনিষেধ রয়েছে।

ইইউ'র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল্লে জানান, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে বেলারুশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গত ২৩ মে গ্রিস থেকে লিথুয়ানিয়াগামী রায়ানএয়ারের একটি বিমানকে মাঝপথে কৌশলে মিনস্কে নামতে বাধ্য করে সাংবাদিক রোমান প্রোতাসেভিচকে (২৬) গ্রেফতার করে বেলারুশ। ভিন্নমতালম্বী ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করতেই ইউরোপের অভ্যন্তরীণ এই ফ্লাইটকে মিনস্কে নামতে বাধ্য করা হয়। পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ বেলারুশ বিমান ছিনতাই করেছে। এরপরই ইউরোপের এয়ারলাইন্সগুলো বেলারুশের আকাশসীমা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে বেলারুশের এয়ারলাইন্সগুলোকে ইউরোপের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। 

এছাড়াও গত বছরের নির্বাচনে বিরোধীদলগুলোর ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে বেলারুশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে।