আইপিসিসি’র প্রতিবেদন ‘মানবতার জন্য লাল সংকেত’

মনুষ্য কর্মকাণ্ডে নজিরবিহীন পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ুর এবং অনেক সময় এই তা অপরিবর্তনযোগ্য বলে জাতিসংঘের এক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই গবেষণায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, এর ফলে চরম তাপপ্রবাহ, খরা ও বন্যা এবং গুরুত্বপূর্ণ তাপমাত্রার রেকর্ড মাত্র এক দশকে ভেঙে গেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব এই প্রতিবেদনকে ‘মানবতার জন্য লাল সংকেত’ বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল বা আইপিসিসি ৪২ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি সামারি ফর পলিসিমেকার্স নামে পরিচিত।

আইপিসিসি ১৯৮৮ সালে গঠিত হয়। মূলত বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনকে ঘিরে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা ও সরকারগুলোকে বৈজ্ঞানিক তথ্য সরবরাহ করাই সংস্থাটির লক্ষ্য।

আইপিসিসি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এটি নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই যে মানুষের প্রভাবে বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর ও ভূমি উষ্ণতর হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব যদি দ্রুত কাজ করে তাহলে বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন গভীরভাবে কমিয়ে ক্রমবর্ধন তাপমাত্রা স্থিতিশীল করার আশাবাদ এখনও রয়েছে।

বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আমরা যদি এখনই শক্তির সম্মিলন ঘটাই তাহলে জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। আজকের প্রতিবেদন স্পষ্ট করে দিয়েছে, দেরি করার মতো সময় নেই আর কোনও অজুহাতেরও সুযোগ নেই।