নরওয়েতে তীর-ধনুক নিয়ে হামলায় সন্দেহভাজনকে চিনতো পুলিশ

নরওয়েতে তীর-ধনুক নিয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর ঘটনায় আটক ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। পুলিশ বলছে তার উগ্রবাদী হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী ওই ড্যানিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে চার নারী ও এক পুরুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। বুধবার রাতে ওই হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ বিবেচিত নরওয়ে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সাড়ে ৬টার দিকে দেশটির রাজধানী অসলো থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে কংসবার্গ শহরে তীর-ধনুক নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে পাঁচ জনের প্রাণহানির পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান ওলে ব্রেড্রাপ সেভারুড জানিয়েছেন সন্দেহভাজন হামলাকারীর সঙ্গে ২০২০ সাল থেকেই পুলিশের জানাশোনা রয়েছে।  বৃহস্পতিবার সকালে তিনি জানান, নিহতদের বয়স ৫০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।

সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ড্রাম্মেন শহরের একটি থানায় নেওয়া হয়। সেখানে তার আইনজীবী ফ্রেডেরিক নিউম্যান জানান তাকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর তিনি পুলিশকে সহায়তা করেছেন। সন্দেহভাজনের মা ড্যানিশ নাগরিক আর বাবা নরওয়ের।

পুলিশ প্রসিকিউটর অ্যান আইরেন জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি গত কয়েক বছর ধরেই কংসবার্গ শহরে বসবাস করেন।

নরওয়ের পুলিশ সাধারণত অস্ত্র সঙ্গে রাখে না। তবে ওই হামলার পর দেশের সব কর্মকর্তাকে সতর্কতা হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনই ভ্রমণই সতর্কতার মাত্রা পরিবর্তনের কোনও ইঙ্গিত নেই বলেও জানিয়েছে পুলিশ।