শুধু সম্মেলন নয়, আমাদের প্রয়োজন জনগণের চাপ: গ্রেটা থুনবার্গ

জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলেছেন, জনগণের পক্ষ থেকে চাপ না থাকলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পদক্ষেপ গ্রহণ শুধু সম্মেলন দিয়ে হবে না। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনের আগে থুনবার্গ বলেছেন, জনগণের উচিত ব্যবস্থাকে সমূলে উৎপাটন করা। তার কথায়, মানুষ যখন চাইবে তখন পরিবর্তন হবে। তাই এসব সম্মেলন দিয়ে কিছু হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি না।

রাজনীতিকরা অজুহাত হাজির করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরের পর এটিই বৃহত্তম জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন। প্রায় ২০০টি দেশকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ কমানোর পরিকল্পনা হাজির করতে বলা হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রধান কারণ এই গ্যাস।

থুনবার্গ সম্প্রদি জলবায়ু পরিবর্তনকে কেন্দ্রে রেখে একটি বৈশ্বিক সিরিজ কনসার্ট শুরু করেছেন ক্লাইমেট লাইভ শিরোনাম। তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন, কপ২৬ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। বিশ্বনেতাদের প্রতি তার বার্তা হলো সৎ থাকার জন্য।

থুনবার্গ বলেন, আমার মতে মানুষ যখন পরিস্থিতির গুরুত্ব এবং যে সংকটের মুখোমুখি আমরা তা বুজতে পারবে তখন সফলতা আসতে শুরু করবে। আমাদের বড় পরিবর্তন প্রয়োজন, আমাদের এই ব্যবস্থাকে উৎখাত করতে হবে কারণ তখনই কেবল পরিবর্তন আসবে।

তিনি বিশ্বাস করেন না ২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ শূন্যে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। এমনকি যুক্তরাজ্য জলবায়ু নেতা হিসেবেও মানতে রাজি নন তিনি।

এই অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বর্তমানে আমাদের কোনও জলবায়ু নেতা নেই। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তার আকস্মিক কোনও সিদ্ধান্ত পারবে না।

তিনি নিজের বিষয়ে বলেন, আমি নিজেকে জলবায়ু সেলিব্রেটি হিসেবে বিবেচনা করি না। আমি নিজেকে একজন জলবায়ু অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে দেখি। আমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত কারণ অনেক মানুষের কোনও প্ল্যাটফর্ম নেই এবং যাদের কথা কেউ শুনছে না, অনেকের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

থুনবার্গের কথায়, ঘরোয়া জীবনে আমি একেবারে ভিন্ন মানুষ। ব্যক্তিজীবনে আমাদের অনেকেই চিনতে পারবে না। মিডিয়ায় আমি খুব রাগী কিন্তু ব্যক্তিজীবনে নিরীহ।