নিরাপত্তা বিরোধে গ্লাসগোতে যাচ্ছেন না এরদোয়ান

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ঐতিহাসিক জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) যাচ্ছেন না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাকে আঙ্কারার প্রত্যাশিত নিরাপত্তা প্রটোকল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই সম্মেলনে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন তিনি। তুরস্কের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

এর আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণের কথা ছিল এরদোয়ানের। সে অনুযায়ী, সম্মেলনের সাইডলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-র সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠকের কর্মসূচিও নির্ধারণ করা হয়।

বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনার কথা ছিল এরদোয়ানের। অত্যাধুনিক ওই যুদ্ধবিমানের জন্য ওয়াশিংটনকে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধও করে আঙ্কারা। তবে তুরস্ক রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় দেশটির কাছে এফ-৩৫ বিক্রি আটকে দেয় মার্কিন কংগ্রেস। সম্প্রতি এরদোয়ান জানান, এফ-৩৫-এর বদলে তুরস্কের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে চায় বাইডেন প্রশাসন। ফলে স্বভাবতই এরদোয়ান-বাইডেন বৈঠকে বিষয়টি অগ্রাধিকার পেতো। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় ওই বৈঠকও ভেস্তে গেলো। অবশ্য রবিবার জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন দুই নেতা।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, রোমে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলন থেকে গ্লাসগো যাওয়ার বদলে এরইমধ্যে দেশে ফিরেছেন এরদোয়ান। তবে সরকারিভাবে এর কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, জলবায়ু সম্মেলনে এরদোয়ানের অংশগ্রহণের ব্যাপারে প্রটোকলের সমস্যা ছিল। আরেকজন তুর্কি কর্মকর্তা জানান, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ প্রটোকল ও নিরাপত্তা নিয়ে তুরস্কের অনুরোধ রক্ষা করেনি।