বিশ্বে প্রথম, অস্ট্রিয়ায় লকডাউনে টিকা না নেওয়া মানুষেরা

বিশ্বে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস মহামারিতে সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা না নেওয়া মানুষদের লকডাউনে রাখতে যাচ্ছে ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া। রেকর্ড সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী চাপ সামলানোর জন্য সোমবার থেকে এই লকডাউন কার্যকর হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

অস্ট্রীয় চ্যান্সেলর আলেক্সান্ডার শ্যালেনবার্গ বলেন, আমরা এই পদক্ষেপকে হালকাভাবে নিচ্ছি না। কিন্তু এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

লকডাউন বিধি অনুসারে, টিকা না নেওয়া মানুষের সীমিত সংখ্যক কারণে ঘরের বাইরে যেতে পারবেন। যেমন- কাজ বা খাবার কেনা।

অস্ট্রিয়ার ৬৫ শতাংশ মানুষ পুরোপুরি টিকা নিয়েছেন। অবশ্য পশ্চিম ইউরোপে এটি টিকাদানের সর্বনিম্ন হার।

গত সাত দিনে সংক্রমণে হার প্রতি লাখে ৮০০-এর বেশি। যা সর্বোচ্চ সংক্রমণ হারের একটি।

সর্বোপরি ইউরোপে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

অস্ট্রিয়ার এই নতুন পদক্ষেপে ২০ লাখ মানুষের জীবনে প্রভাব পড়বে। এনই মধ্যে টিকা না নেওয়া মানুষেরা রেস্তোরাঁ, সেলুন ও চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন। লকডাউনের সময় তাদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।

শ্যালেনবার্গ বলেন, বাস্তবতা হলো আমরা এক-তৃতীয়াংশ জনগণকে বলেছি: আপনারা নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া নিজেদের অ্যাপার্টমেন্ট ত্যাগ করতে পারবেন না। এটি হলো টিকা না নেওয়া ও টিকা নেওয়া মানুষদের সংস্পর্শ বড় আকারে কমিয়ে আনা।

সরকার জানিয়েছে, পুলিশ বিভিন্ন পাবলিক স্পেসে তল্লাশি চালাবে মানুষের টিকা নেওয়ার অবস্থান জানার জন্য।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী উলফগ্যাং মুকস্টেইন জানান, নতুন এই বিধিনিষেধ ১২ বছরের কম বয়সী শিশু, সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।