নেদারল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ৬১ জনের করোনা শনাক্ত

নেদারল্যান্ডসে শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা দুটি ফ্লাইটের ৬১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরইমধ্যে তাদের সাত দিনের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। কোভিডের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে দুনিয়াজুড়ে উদ্বেগের মধ্যেই শনিবার এ খবর এলো। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এপি।

আমস্টারডামের শিফোল বিমানবন্দরে হাজির হওয়া যাত্রীর আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ আফ্রিকায় এরইমধ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এর সংক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রন দেশটির সংক্রমণের চিত্রই বদলে দিয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুলিও ডি অলিভিয়েরা বলেছেন, এই ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশনের ধারা অস্বাভাবিক এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে এটি অনেক ভিন্ন। তার ভাষায়, ‘এই ভ্যারিয়েন্ট আমাদের অবাক করেছে। বিবর্তনের হিসেবে এবং পরবর্তী মিউটেশনের হিসাব করলে এটি কয়েক ধাপ লাফ দিয়েছে।’

এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক অলিভিয়েরা বলেন, সব মিলিয়ে ৫০টি মিউটেশন রয়েছে যার মধ্যে ৩০টি মিউটেশেনই স্পাইক প্রোটিনে। অধিকাংশ টিকাই স্পাইক প্রোটিনের এই ভ্যারিয়েন্টগুলোকে আক্রমণ করে। ভাইরাসের যে অংশটি - রিসিপটর বাইন্ডিং ডোমেইন - আমাদের শরীরের কোষের সঙ্গে প্রথম সংযোগ ঘটায়, নতুন ভ্যারিয়েন্টে সেটির ১০টি মিউটেশন রয়েছে। ভয়াবহ ক্ষতিকর হিসেবে আলোড়ন তৈরি করা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে এই মিউটেশন ছিল মাত্র দুইটি।

অনেকগুলো মিউটেশন থাকা মানেই যে তা ক্ষতিকর, তা নয়। কিন্তু মিউটেশনগুলো আসলে কী ক্ষতি করছে - তা জানা জরুরি। চিন্তার বিষয় হলো, চীনের উহানে উদ্ভূত ধরণের চেয়ে এটি অনেক ভিন্ন। এর অর্থ হলো, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তৈরি হওয়া টিকা- যেগুলো মূল ধরণটি ব্যবহার করে বানানো হয়েছিল- নতুন ধরণের জন্য সমানভাবে কার্যকর নাও হতে পারে। সূত্র: এপি, বিবিসি।