মহামারি অবসানের কাছাকাছি পৌঁছায়নি: ডব্লিউএইচও

করোনাভাইরাস মহামারির অবসান কীভাবে হবে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আনুষ্ঠানিকভাবে মহামারি ঘোষণার প্রায় দুই বছর হলেও মহামারি অবসানের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি বিশ্ব।

নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণশীল ওমিক্রন শনাক্তের পর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো করোনার আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় এটি কম ভয়াবহ। এর ফলে এটি মহামারির একটি মোড় ঘুরানো বা উপসংহার হতে পারে বলে একটি ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বলছেন, ওমিক্রন মহামারি অবসানের ইঙ্গিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস মঙ্গলবার এই তত্ত্ব বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহামারির এখনও অবসানের কাছাকাছি পৌঁছায়নি।

ডব্লিউএইচও’র মতে, ওমিক্রন এখনও বিদ্যুৎগতিতে ছড়াচ্ছে। গত এক সপ্তাহেই ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীদের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং বাড়ছে, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীদের ভীড়। অস্ট্রেলিয়া থেকে জার্মানিতে নজিরবিহীন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুরুতর চাপ তৈরি করছে।

মহাপরিচালক বলেন, অবশ্যই গড়পড়তা বিচারে ওমিক্রন হয়ত কম ভয়াবহ। কিন্তু এটি মৃদু বলে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে তা ভুল পথে চালিত করে। ভুলে যাবেন না, ওমিক্রনের রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি ও মারা যাচ্ছে। কম ভয়াবহ আক্রান্তরাও হাসপাতালে চাপ তৈরি করছে। ভাইরাস এত দ্রুত ছড়াচ্ছে যখন অনেকেই এখনও ঝুঁকিপূর্ণ।

একদিন প্রায় একই কথা শোনা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচির কণ্ঠে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, করোনাভাইরাস কি স্থানীয় রোগে পরিণত হচ্ছে যখন ব্যাপক মানুষ সংক্রমিত কিন্তু উদ্বেগজনক মাত্রায় প্রভাব ফেলছে না। তখন ফাউচি বলেন, আমি এমনটি আশা করব। কিন্তু এটি হতে পারে যদি আর কোনও ভ্যারিয়েন্ট না আসে যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটাতে পারবে।

ফাউচি আরও যুক্ত করে বলেন, বিশ্ব এখনও মহামারির পাঁচটি ধাপের প্রকৃত মহামারি ধাপে রয়েছে। যে অবস্থায় বিশ্বে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সূত্র: সিএনএন