ইউক্রেনের সামরিক কারখানায় গুলি, নিহত ৫

ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলের একটি সামরিক কারখানায় নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর গুলি চালিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের এক সেনা সদস্য। এতে পাঁচ জন নিহত এবং আরও পাঁচ জন আহত হয়েছে। তবে গুলি চালানোর কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ওই সামরিক কারখানায় প্রতিরক্ষা, প্লেন এবং কৃষি সংক্রান্ত সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।

বৃহস্পতিবার ভোরে পিভদেনমাস ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিফটের শুরুতে রক্ষীদের অস্ত্র বিতরণের সময় গুলি চালানো হয়।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলাকারী সেনা সদস্য একটি কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এতে পাঁচ জন নিহত এবং আরও পাঁচ জন আহত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পালিয়ে যাওয়া সেনা সদস্যকে খুঁজতে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই সেনা সদস্যের ডিউটি শিফটের শুরুতে অস্ত্র বিতরণের পর স্থানীয় সময় ভোর তিনটা ৪০ মিনিটে গুলি চালানো শুরু করে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই অপরাধের কারণ এখনও জানা যায়নি। ন্যাশনাল গার্ডের কমান্ডার নিকোলাই বালান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য এক স্পর্শকাতর সময়ে এই হামলার ঘটনা ঘটলো। ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর অভিযোগ ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।

তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ন্যাটো জোটের কাছে নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি দাবি করেছে মস্কো। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। তবে তাতে সংকটের নিরসন হয়নি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জার্মানির বার্লিনে পরবর্তী ধাপের আলোচনা শুরুর কথা রয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা