সুইডেনে শরণার্থীদের মারধর শতাধিক মুখোশধারীর

nonameসুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের প্রধান রেল স্টেশনের ভেতরে ও আশপাশের এলাকায় শরণার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে শতাধিক মুখোশধারী দুর্বৃত্ত। তারা শরণার্থীদের ব্যাপক মারধর করে। যাদেরকে নৃতাত্ত্বিকভাবে সুইডিশ নয় বলে মনে হয়েছে তারাই পিটুনির শিকার হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় চালানো এ হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনও পর্যন্ত আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মুখোশধারীরা যাদের শরণার্থী মনে করেছে, তাদের ওপরই হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া, তারা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক লিফলেট বিতরণ করে। ওই লিফলেটের শিরোনাম ছিল, ‘অনেক ধৈর্য ধারণ করা হয়েছে।’
এতে একটি অভিবাসী আশ্রয়শিবিরে নিহত ত্রাণকর্মী আলেকজান্দ্রা মেহজারের ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ বছরের এক শরণার্থী কিশোরকে আটক করা হয়েছে।স্টকহোম পুলিশের মুখপাত্র টোয়ি হ্যাগ বলেন, রেল স্টেশন এলাকায় হামলায় জড়িতদের সবাই কালো মুখোশ পরা ছিল।
হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমি তিনজনকে পিটুনি খেতে দেখেছি। শরণার্থীদের মারধরের জন্যই তারা সেখানে জড়ো হয়েছিল। আমি ভয় পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাই।”

উল্লেখ্য, চলতি মাসে সুইডেনের একটি অভিবাসী আশ্রয়শিবিরে এক কিশোর অভিবাসীর ছুরিকাঘাতে শিবিরের একজন নারীকর্মী নিহত হন। গোথেনবার্গের নিকটবর্তী মোলনদাল এলাকার ওই শিবিরটিতে ২২ বছরের ওই নারীকর্মীকে ছুরিকাঘাত করে ১৫ বছরের এক কিশোর অভিবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর রক্তাক্ত, গুরুতর আহত ওই নারীর মৃত্যু হয়। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এ ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর অপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোভেন। হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আশ্রয়শিবিরটি পরিদর্শন করেন তিনি।

সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, অনেক সুইডিশই আবারও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন। কারণ আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে অনেক নিঃসঙ্গ শিশু ও তরুণকে আশ্রয় দিয়েছে সুইডেন।

পুলিশের মুখপাত্র থমাস ফাক্সবর্গ জানান, শিবিরের অন্য বাসিন্দারা অপরাধীকে ধরে ফেলে। এ ঘটনায় সেখানকার লোকজন বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন।

গতবছর দেড় লাখেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন গ্রহণ করেছে সুইডেন। জার্মানির পর ইউরোপের এ দেশটিই সবচেয়ে বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আশ্রয় দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

/এমপি/