ইউক্রেনে আরও ২ রুশ সেনার যুদ্ধাপরাধের স্বীকারোক্তি

ইউক্রেনে বন্দি হওয়া দুই রুশ সেনা দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহরে গোলাবর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর দ্বিতীয় যুদ্ধাপরাধের বিচারের তারা এই স্বীকারোক্তি দিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার দুই সেনা আলেক্সান্ডার ববিকিন ও আলেক্সান্ডার ইভানভ স্বীকার করেছেন যে, রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের খারকিভে গোলাবর্ষণ করা কামান ইউনিটের সদস্য ছিলেন তারা।

ইউক্রেনীয় প্রসিকিউটির বলেছেন, এই গোলাবর্ষণের ফলে ডারহাচি শহরে একটি শিক্ষা স্থাপনা ধ্বংস হয়।

ববিকিন ও ইভানভ নিজেদের কামানের চালক ও গানার হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

প্রসিকিউটর জেনারেল জানিয়েছে, গোলাবর্ষণ করতে করতে সীমান্ত অতিক্রম করার পর এই দুই সেনাকে বন্দি করা হয়।

মধ্য ইউক্রেনের কোটেলেবস্কা জেলার একটি আদালতে বিচারে ববিকিন বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে আমি সম্পূর্ণ দোষী। আমরা রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে গোলাবর্ষণ করেছি।

সর্বোচ্চ কারাদণ্ড না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইভানভ আদালতে বলেছেন, আমি অনুতপ্ত এবং কম সাজার আবেদন করছি।

প্রসিকিউটর দুই রুশ সেনাকে যুদ্ধের আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আগামী ৩১ মে বিচারের রায় ঘোষণা করা হতে পারে।

এর আগে ২৩ মে যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়ার একজন সেনাসদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ইউক্রেনের একটি আদালত। তার বিরুদ্ধে ৬২ বছরের একজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই রুশ সেনার নাম ভাদিম সিসিমারিন (২১)। বিচারে তিনি যুদ্ধাপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।