ইউক্রেনীয় শহরে চেচেন যোদ্ধাদের ভিডিও পোস্ট করলেন কাদিরভ

ইউক্রেনের সেভেরোডোনেটস্ক শহরের কেন্দ্রস্থলে চেচেন যোদ্ধাদের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

টুইটারে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, চেচেন যোদ্ধারা শহরের মাঝখান দিয়ে হাঁটছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তারা কথা বলছে। একটি ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা সরিয়ে ফেলতেও দেখা গেছে তাদের।

রমজান কাদিরভের পোস্ট করা ভিডিওর পটভূমিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যেন বাসিন্দারা তাদের ‘মুক্ত করার’ জন্য চেচেন যোদ্ধাদের স্বাগত জানাচ্ছে।

লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেছেন, বিরোধী পক্ষের কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি শহরে প্রবেশ করেছিল। তবে বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত জানানোর দৃশ্যটি সাজানো।

এমন সময়ে চেচেন নেতা এই ভিডিও প্রকাশ করলেন যার কদিন আগেই ইউক্রেনকে সহযোগিতার কারণে পোল্যান্ডে রুশ হামলার হুমকি দিয়েছেন তিনি। গত ২৫ মে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, ইউক্রেন ইস্যু শেষ হয়ে গেছে। আমি পোল্যান্ড নিয়ে আগ্রহী। তারা কী অর্জন করতে চাইছে? প্রতিবেশী দেশকে (ইউক্রেন) সরবরাহ করা অস্ত্র তাদের ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।

কাদিরভ বলেন, ইউক্রেনের পর নির্দেশ দেওয়া হলে ছয় সেকেন্ডের ভেতর আমরা দেখিয়ে দেবো কী করতে পারি। আপনাদের (পোল্যান্ড) উচিত সরবরাহ করা অস্ত্র ও ভাড়াটে যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যা করেছেন সেজন্য সরকারিভাবে ক্ষমা চাওয়া।

কাদিরভ যে রাষ্ট্রদূতের প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি পোল্যান্ডে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই আন্দ্রিভ। এই মাসের শুরুতে পোল্যান্ডের রাজধানীতে সোভিয়েত সামরিক সমাধি পরিদর্শনের সময় তার মুখে লাল রঙ ছুড়ে মারা হয়েছিল।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। দেশটির দাবি, তারা ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা এই আক্রমণকে উসকানি ছাড়াই আগ্রাসী যুদ্ধ হিসেবে দাবি করছে। চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও বেসামরিক হত্যার অভিযোগ এনেছে পশ্চিমারা। রাশিয়া এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।