রাশিয়ার কাছে সেভেরোডোনেস্ক ও লিসিচানস্ক কেন গুরুত্বপূর্ণ

পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের কৌশলগত দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোডোনেস্ক ও লিসিচানস্ক। এই দুটি শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে সর্বশক্তি দিয়ে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। প্রতিরোধ জোরদার করেছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারাও। কিন্তু রাশিয়ার কাছে কেন ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এই দুই শহর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো?

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সিভারস্কি ডোনেটস নদীর পাশে সেভেরোডোনেস্ক ও লিসিচানস্ক শহরের অবস্থান। সপ্তাহখানেক ধরে রাশিয়া সর্বাত্মক হামলা শুরু করলেও প্রতিরোধের কারণে এখনও ইউক্রেনের দখলে।

নদীর ডানদিকে ঘেঁষে অবস্থিত লিসিচানস্ক শহর। এদিকে দিয়ে রাশিয়ার অগ্রগতি রোধে প্রকৃতি একটা বাধা হিসেবে কাজ করছে। ফলে শহরের কেন্দ্রে প্রবেশে অতটা সহজ হচ্ছে না রুশ বাহিনীর। এখানকার পথগুলোও বেশ জটিল।

কিন্তু প্রতিরোধ জোরালো হলেও সেভেরোডোনেস্কের বেশির ভাগ ভূখণ্ড ইতোমধ্যে অনেকটাই রাশিয়ার পকেটে চলে গেছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও নিশ্চিত করেনি ইউক্রেনীয় আঞ্চলিক প্রশাসন। 

ডনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা

এমন পরিস্থিতিতে সেভেরোডোনেস্ক ও প্রতিবেশী লিসিচানস্ক শহরের পতন ঘটলে পুরো লুহানস্ক রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এবং এটা হবে মস্কোর জন্য একটা বড় কৌশলগত অর্জন। লুহানস্ক ডনবাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এবং ইউক্রেনের ভারী শিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত। এতে রাশিয়া নিজেদের শাসনের বড় সুযোগ পেয়ে যাবে। আর এখান থেকে ইউক্রেনের আরও ভেতরে হামলার সুবিধা হবে। 

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশ এবং উত্তর-পূর্বে যুদ্ধের প্রথম কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক সামরিক পরাজয়ের পর ডনবাসের লুহানস্ক ও প্রতিবেশী ডোনেস্কে নিজেদের মনোনিবেশের ঘোষণা দেয় মস্কো। ডোনেস্ক ও লুহানস্ক বিস্তৃত খনিসমৃদ্ধ এলাকা। সবকিছু মিলিয়ে এখানে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের অভিযোগ, এখানকার বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী। এতে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে।

সূত্র: বিবিসি।