আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ, রাশিয়ার কাছে এস্তোনিয়ার প্রতিবাদ

রাশিয়ার একটি হেলিকপ্টার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে এস্তোনিয়া। মঙ্গলবার ‘চরম গুরুতর’ এই লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এস্তোনিয়া। এনিয়ে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মস্কোর রাষ্ট্রদূতকে তিরস্কার করলো তালিন।

এস্তোনিয়া ইতোমধ্যেই আরেক বাল্টিক দেশ লিথুয়ানিয়ার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। মস্কো বলেছে রুশ অঞ্চল কালিনিনগ্রাদে কিছু পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করার জন্য লিথুয়ানিয়াকে শাস্তি দেওয়া হবে। এরপরই তাদের প্রতি সংহতি জানায় এস্তোনিয়া।

এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ জুন কোনও অনুমতি ছাড়াই রুশ হেলিকপ্টারটি দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার একটি পয়েন্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এস্তোনিয়া এটিকে একটি চরম গুরুতর এবং দুঃখজনক ঘটনা বলে মনে করে যা নিঃসন্দেহে অতিরিক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য’।

রুশ সেনাদের ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাশিয়াকে অবশ্যই তার প্রতিবেশিদের হুমকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং বুঝতে হবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে আগ্রাসন শুরু করেছে তার মূল্য সত্যিই অনেক বেশি’।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ সহযোগিদের একজন বলেছেন কালিনিনগ্রাদে পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করার জ্বালা টের পাবে লিথুয়ানিয়া। বাল্টিক দেশটি দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে মস্কোর বিরুদ্ধে জোটের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করছে তারা।

এর আগে গত ১০ জুন রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের এক বক্তব্যের সমালোচনা করে এস্তোনিয়া। ওই বক্তব্যে পুতিন ১৮ শতাব্দীর এক রুশ শাসকের প্রশংসা করেন। ওই শাসক বর্তমানের একটি এস্তোনিয়ার শহর দখল করেছিলেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতা পাওয়ার আগ পর্যন্ত রুশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিলো এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়া। ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশ তিনটিকে দখল করে নেয়। পরে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ফের স্বাধীনতা লাভ করে তারা।

সূত্র: রয়টার্স