ইউক্রেন ও মলদোভাকে প্রার্থী মর্যাদা দিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেন ও মলদোভাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা দিয়েছে ২৭ দেশের জোটটি। বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল এই ঘোষণা দিয়েছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ ইইউ এর দিকে আপনার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত হয়েছে’।

গত ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর কয়েক দিনের মাথায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্য হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন জানায় ইউক্রেন। এরপরই তাদের সদস্য প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে শুরু হয়। বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘(ইউক্রেন)-ইইউ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি অনন্য এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত...ইইউ-এর মধ্যেই ইউক্রেনের ভবিষ্যত’।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো আগ্রাসন মোকাবিলা করা নাগরিকদের প্রতি এক আবেগীয় বার্তা দিয়েছেন। টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, ‘এই সুযোগ পেতে আমাদের অতি উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছে। হ্যাঁ, ইউরোপীয় পরিবারে যুক্ত হতে আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে’।

ভিটালি আরও লেখেন, ‘কিন্তু আমি নিশ্চিত ইউক্রেন প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে, শর্ত পূরণ করবে এবং প্রয়োজনীয় আইন পাস করবে। কারণ এর অন্যথায় আমাদের রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নেই। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের সেরা ডিফেন্ডাররা এর জন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করছে’।

ইইউ সদস্য পদ পাওয়ার প্রাথম আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ হচ্ছে প্রার্থী মর্যাদা পাওয়া। তবে পূর্ণ সদস্য হতে কয়েক বছর লাগতে পারে আর সদস্য প্রার্থী হলেই সদস্য হওয়া যাবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন যোগদান প্রক্রিয়া হবে ‘যুক্তি ভিত্তিক’ এবং শর্তাধীন সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে না। এসবের মধ্যে রয়েছে আইনের শাসন জোরদার করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। ২০২২ সালের শেষ দিকে এসব খতিয়ে দেখবে কমিশন।

ইইউ এর পদক্ষেপ সন্দেহাতীতভাবে ইউক্রেনের জন্য বড় মুহূর্ত এবং জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত। এদিকে মলদোভার আবেদন গ্রহণ করা হলেও তৃতীয় আরেকটি সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র জর্জিয়া এখনও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতায় উন্নীত হতে পারেনি।

সূত্র: বিবিসি