বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন এরদোয়ান

ন্যাটো জোট সম্প্রসারণ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। মঙ্গলবার এরদোয়ান জানান মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হবে তার। এই বৈঠকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং পশ্চিমা সামরিক জোটে দুই নরডিক দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তুরস্কের বিরোধিতার অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ওই বৈঠক। বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এরদোয়ানের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে শীতল সম্পর্ক চলছে। এর আগে সবশেষ গত অক্টোবরে রোমে জি২০ গ্রুপের সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মিলিত হয়েছিলেন এরদোয়ান ও বাইডেন।

মঙ্গলবার এরদোয়ান বলেন, ‘আজ সকালে আমরা বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছি আর তিনি আজ রাতে কিংবা আগামী কাল একসঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা বলেছি এটা সম্ভব’। মাদ্রিদে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সম্মেলন শুরুর আগে সেখানে তিনি সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের নেতাদের পাশাপাশি ন্যাটো মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এরদোয়ান বলেন, তিনি সোমবার ব্রাসেলসে প্রস্তুতিমূলক আলোচনার ফলাফল দেখতে চান। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড তুরস্কের দাবি মেনে নিতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তা নিয়ে আশ্বস্ত হতে চান এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আমরা ৭০ বছর ধরে ন্যাটো সদস্য। হুট করে ন্যাটো সদস্য হওয়া কোনও দেশ তুরস্ক নয়’।

এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই তারা (ফিনল্যান্ড ও সুইডেন) কোন পয়েন্টে পৌঁছেছে। আমরা খালি কথা চাই না। আমরা ফলাফল চাই’।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সদস্য পদ পেতে আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। তবে এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে তুরস্ক। তাদের দাবি হেলসিঙ্কি ও স্টকহোম কুর্দি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এবং আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

সূত্র: এএফপি