ইউক্রেনের শপিং সেন্টারে হামলার কথা অস্বীকার রাশিয়ার

ইউক্রেনের ক্রেমেনচুকে একটি ব্যস্ত শপিং সেন্টারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘের নিযুক্ত রাশিয়ার উপ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ওই শপিং সেন্টারটিতে কোনও হামলা চালায়নি মস্কো। যদিও অঞ্চলটির গভর্নর দিমিত্রো লুনিন সেখানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৮ জন নিহতের কথা জানিয়েছেন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, রাশিয়ার নির্ভুল অস্ত্রগুলো পূর্ব ডনবাসে ইউক্রেনীয় বাহিনীর একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুত ছিল।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল শপিং সেন্টারটি কিছুটা দূরে ছিল। কিন্তু গোলাবারুদের বিস্ফোরণের ফলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়, যা পরে শপিং সেন্টারে ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আক্রান্ত হয় অ্যামস্টোর নামের শপিং সেন্টারটি। এটির অবস্থান ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে প্রায় ৮১ মাইল দূরে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, শপিং সেন্টারটি থেকে ধোঁয়া উড়ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সেখানে জড়ো হয়েছে অগ্নিনির্বাপক ট্রাক।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলার সময় শপিং সেন্টারটির ভেতরে সহস্রাধিক মানুষ ছিল। তিনি বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে শালীনতা ও মানবতা আশা করা ভুল। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিচ বেসামরিক স্থাপনায় এমন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

পোলটাভা অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান দিমিত্রো লুনিন এ আক্রমণকে 'যুদ্ধাপরাধ' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

মধ্য ইউক্রেনে দনিপার নদীর তীরের এই শিল্পকারখানা সমৃদ্ধ শহরটিতে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের বাস। এর আগেও শহরটির তেল শোধনাগার ও অন্যান্য স্থাপনার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। গত ১৪ জুন প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটানো সহজ নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যেসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সেগুলো ছিল কঠিন। তবে তাদের এসব পদক্ষেপ মস্কোকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর দিকে আরও ঠেলে দিচ্ছে।