জাতিসংঘকে তদন্তের আহ্বান জেলেনস্কির

জাতিসংঘের প্রতি ইউক্রেনের ক্রেমেনচুকে একটি ব্যস্ত শপিং সেন্টারে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ। মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই আহ্বান জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

মঙ্গলবার টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় তিনি হামলার ঘটনা তদন্তে ইউক্রেনে একজন দূত বা বা একটি কমিশন পাঠাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে জাতিসংঘের পক্ষে যাবতীয় তথ্য খুঁজে বের করা সম্ভব। তারা যাচাই দেখতে পারে, রাশিয়া আসলেই সেখানে হামলা চালিয়েছে কিনা।

জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া জাতিসংঘের মৌলিক নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করছে। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের জবাবদিহিও করতে হচ্ছে না।

এদিকে ক্রেমেনচুকে ব্যস্ত শপিং সেন্টারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘের নিযুক্ত রাশিয়ার উপ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ওই শপিং সেন্টারটিতে কোনও হামলা চালায়নি মস্কো। সেদিন রাশিয়ার নির্ভুল অস্ত্রগুলো পূর্ব ডনবাসে ইউক্রেনীয় বাহিনীর একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুত ছিল। ঘটনাস্থল শপিং সেন্টারটি কিছুটা দূরে ছিল। কিন্তু গোলাবারুদের বিস্ফোরণের ফলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়, যা পরে শপিং সেন্টার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। গত ১৪ জুন প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটানো সহজ নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যেসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সেগুলো ছিল কঠিন। তবে তাদের এসব পদক্ষেপ মস্কোকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর দিকে আরও ঠেলে দিচ্ছে।