পুরো লুহানস্ক অঞ্চল দখলের দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক অঞ্চল ‘মুক্ত করার’ দাবি করেছে রাশিয়া। গত কয়েকদিন ধরে ইউক্রেনের পূর্ব দিকের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর লিসিচানস্কের ওপর তুমুল হামলার পর সোমবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে শহরটি এখন পুরোপুরি তাদের সেনাদের দখলে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শৌইগু এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে জানিয়েছেন পুরো লুহানস্ক অঞ্চল এখন ‘মুক্ত’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

রবিবার রাশিয়া দাবি করেছিল, লিসিচানস্ক শহরটি চারদিক থেকে রুশ সেনারা ঘিরে ফেলেছে এবং শহরের কেন্দ্রে এখন ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে লড়াই চলছে।

বিবিসির পক্ষেও এখনও নিরপক্ষে সূত্রে লিসিচিানস্ক পতনের রাশিয়ার দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে ইউক্রেনের সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ইউরিভ সাক বলেন, লিসিচিানস্ক এখনও তাদের হাতছাড়া হয়নি। তবে তিনি স্বীকার করেন, ইউক্রেনীয় সেনারা সেখানে প্রচণ্ড হামলার মুখে পড়েছে।

লুহানস্কের শেষ বড় ঘাঁটি লিসিচানস্ক শহরের পতন ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনীয়  প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ। 

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাসের লুহানস্ক এবং ডনেস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের হঠানোই এখন এই যুদ্ধে রাশিয়ার প্রধান লক্ষ্য। পুরো লুহানস্ক নিয়ন্ত্রণের পর এখন রুশ সেনারা ডনেস্কের দিকে নজর দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউরিভ সাক বলেছেন, রাশিয়া লুহানস্ক নিতে পারলেও ডনবাসের ‘যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি’। তিনি বলেন, ডনেস্ক অঞ্চলের ‘অনেক বড় শহর’ এখনও ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে।

তিনি আরও বলেন, ‘এসব শহরে গত দুই-তিনদিন ধরে প্রচণ্ড ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট হামলা হচ্ছে, কিন্তু ডনবাসের যুদ্ধ এখনও বাকি’।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন ‘যথেষ্ট পরিমাণে’ ভারী কামান এবং অন্যান্য অস্ত্র পেতে চলেছে এবং তখন হারানো এসব অঞ্চল তারা মুক্ত করতে সমর্থ হবেন।

উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। ভয়াবহ হামলায় ইউক্রেনের কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। তাদের অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো।