এবার ইউক্রেনকে দুটি ‘নাসামস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ‘নাসামস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, এই দুটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি চারটি অতিরিক্ত কাউন্টার-আর্টিলারি রাডার ও দেড় লাখ রাউন্ড ১৫৫এমএম কামানের গোলা পাঠানো হবে। ইউক্রেনকে দেওয়া সর্বশেষ সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এগুলো পাঠানো হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার স্পেনের মাদ্রিদে ইউক্রেনকে ৮২০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার ঘোষণা দেন। ইউক্রেনকে দেওয়া সর্বশেষ মার্কিন সামরিক সহযোগিতা এটি। ওই সম্মেলনে ন্যাটো নেতাদের আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে সহযোগিতার বিষয়ে বলেন, ইউক্রেনীয়রা যে নৃশংসতার মুখোমুখি তা এই সপ্তাহে বেসামরিকে পূর্ণ শপিং মলে হামলায় আবারও সামনে এসেছে। তারা নিজেদের দেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের ন্যায্য কারণকে সমর্থন করছে এবং তাদের পাশে রয়েছে।

সোমবার ক্রেমেনচুক শহরের একটি ব্যস্ত শপিং মলে রুশ যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া কেএইচ-২২ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। এতে ১৯ জন নিহত হয়। এই হামলাটির নিন্দা জানান পশ্চিমা নেতারা এবং পোপ ফ্রান্সিস। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেনের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা দাবি করেছে, তারা শপিং মলের পাশে পশ্চিমাদের পাঠানো অস্ত্রের গুদামে হামলা চালিয়েছে।  

পেন্টাগন শুক্রবার বাইডেনের ঘোষিত সামরিক সহযোগিতার বিস্তারিত জানিয়েছে। সর্বশেষ এই সহযোগিতায় হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমার্স)-এর অতিরিক্ত গোলাবারুদ রয়েছে।

একটি সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, যে কাউন্টার আর্টিলারি রাডার পাঠানো হচ্ছে তা তৈরি করেছে রেথিওন টেকনোলজিস। এটি এএন/টিপিকিউ-৩৭ ব্যবস্থা। ইউক্রেনে এই প্রথম এমন ব্যবস্থা পাঠানো হচ্ছে। এর আগে পাঠানো রাডার ব্যবস্থার চেয়ে এগুলো তিনগুণ বেশি কার্যকর পাল্লা রয়েছে।

ইউক্রেনে পাঠানো নতুন সামরিক সহযোগিতার মূল লক্ষ্য দেশটির সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। বিশেষ করে রাশিয়ার ভারী কামানের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কিয়েভের শক্তি বৃদ্ধি করতে চায় বাইডেন প্রশাসন। সর্বশেষ এই ঘোষণার ফলে ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহযোগিতার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৯ বিলিয়ন ডলার।