‘লুহানস্কেই ইউক্রেনে রাশিয়ার শেষ জয়’

লুহানস্ক অঞ্চল দখলই ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার শেষ বিজয়।’ এক অনলাইন পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ওলেক্সি আরেস্টোভিচ বলেন, ‘এগুলো ছিল মাঝারি আকারের শহর। সেখানে ৪ এপ্রিল থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত তাদের ৯০ দিন সময় লেগেছে। বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

ইউক্রেনের আশঙ্কা, মস্কো এখন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ডোনেস্ক অঞ্চলের দিকে আরও বেশি নজর দেবে। তবে যে কোনও মূল্যে সেখানে রুশ আগ্রাসন মোকাবিলা করতে চায় কিয়েভ।

ওলেক্সি আরেস্টোভিচ বলেন, ডোনেস্কের যুদ্ধের পাশাপাশি ইউক্রেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় পাল্টা আক্রমণ চালানোর আশা করছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) রুশ বাহিনী কর্তৃক ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চল দখল উদযাপন করেছেন রুশ মহাকাশচারীরা। সোমবার চলমান যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ এই জয়ের পর উদযাপনে মেতে ওঠেন তারা। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস বলছে, লুহানস্ক অঞ্চল রাশিয়ার দখলে নেওয়া ‘মুক্তির একটি দিন যা পৃথিবী ও মহাকাশে উদযাপনের মতো।’

রসকসমসের পক্ষ থেকে রুশ মহাকাশচারী ওলেগ আর্তেমিয়েভ, ডেনিস মাতভিব ও সের্গেই কোরসাকভের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে তারা হাস্যোজ্জ্বল মুখে স্বঘোষিত লুহানস্ক পিপল’স রিপাবলিক ও ডনেস্ক পিপল’স রিপাবলিকের পতাকা ধরে আছেন। টেলিগ্রামে রসকসমস লিখেছে, এটি একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দন। লুহানস্ক অঞ্চলের মানুষ আট বছর ধরে দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন। আমরা নিশ্চিত যে ২০২২ সালের ৩ জুলাই লুহানস্কের ইতিহাসে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

রবিবার রাশিয়া ঘোষণা করে যে তারা লুহানস্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইউক্রেন শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর কথা স্বীকার করলেও দাবি করেছে, সেনাদের জীবন রক্ষার জন্য তারা পিছু হটেছে। শহরটি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। গত ১৪ জুন প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটানো সহজ নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যেসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সেগুলো ছিল কঠিন। তবে তাদের এসব পদক্ষেপ মস্কোকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর দিকে আরও ঠেলে দিচ্ছে।