ইউক্রেনের খাদ্যশস্য চুক্তি নিয়ে আশাবাদ এরদোয়ানের

ইউক্রেনের খাদ্যশস্য চুক্তি নিয়ে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, আঙ্কারা আশা করে এই চুক্তির ব্যাপারে কিয়েভ ও মস্কো তাদের দায়িত্ব পালন করবে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি হ্যাবারের সঙ্গে আলাপকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

কৃষ্ণসাগর হয়ে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানি পুনরায় শুরু করতে শুক্রবার (২২ জুলাই) একটি চুক্তিতে উপনীত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর উপকূলের ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী।

টিআরটি হ্যাবারের সঙ্গে আলাপকালে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আশা করি, তারা যে দায়িত্ব নিয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করবে।’

ইস্তাবুলের একটি সেন্টার থেকে পুরো প্রক্রিয়াটির ‘অপারেশনাল দিক’ নিয়ে সব পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের কথাও জানান এরদোয়ান।

এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর উপকূলের বন্দর থেকে শস্য রফতানিতে কোনও বাধা নেই। এ সংক্রান্ত চুক্তির কয়েক ঘণ্টার মাথায় ওডেসা বন্দরে হামলা নিয়েও কথা বলেন তিনি।

সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, শনিবার ইউক্রেনের প্রধান বন্দর ওডেসাতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ছিল সামরিক অবকাঠামো। আর শস্য রফতানির চুক্তিতে ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামোতে হামলা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট শুরু হয়। ইউক্রেনের বন্দর দিয়ে শস্য রফতানি বন্ধ হয়ে পড়ায় শুরু হয় এই সংকট। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য চুক্তির বাস্তবায়ন দেখতে চায় তুরস্কসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।