সাবেক জার্মান চ্যান্সেলরের কর্মকাণ্ড ন্যক্কারজনক: জেলেনস্কি

সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডারের কর্মকাণ্ড ন্যক্কারজনক। এমন মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে দেওয়া ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ইউরোপীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে রাশিয়া। আর ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সাবেক নেতারা যখন এই রাশিয়ার পক্ষে কাজ করেন সেটি ন্যক্কারজনক।

এর আগে গেরহার্ড শ্রোয়েডারকে ‘রাশিয়ার রাজকীয় আদালতের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে উল্লেখ করেন জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক।

সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন ইউরোপের প্রবীণ এই রাজনীতিক। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ভালো খবর হচ্ছে, ক্রেমলিন আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছাতে চায়।’

ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানিতে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যকার চুক্তি একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন সাবেক এই জার্মান চ্যান্সেলর। তিনি বলেন, প্রথম সাফল্য হলো খাদ্যশস্য চুক্তি। এটি ধীরে ধীরে যুদ্ধবিরতির দিকে যেতে পারে।

১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জার্মান চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন গেরহার্ড শ্রোয়েডার। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সমালোচনা করলেও পুতিনের নিন্দা জানাতে রাজি নন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

গত ১৪ জুন প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটানো সহজ নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যেসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সেগুলো ছিল কঠিন। তবে তাদের এসব পদক্ষেপ মস্কোকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর দিকে আরও ঠেলে দিচ্ছে।