ইউক্রেনে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি নিয়ে পোপের হুঁশিয়ারি

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসান এবং জাপোরিঝজিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি এড়াতে ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। বুধবার এই আহ্বান জানান তিনি। এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইএইএ জানিয়েছে, আলোচনা সফল হলে রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় কেন্দ্রটি কয়েক দিনের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করবে তারা।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে গোলাবর্ষণের জন্য বারবার রাশিয়া ও ইউক্রেনকে পরস্পর দোষারোপ করছে। জাপোরিঝজিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর প্রথম দিকেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখল করে নেয় মস্কোপন্থী বাহিনী। জাতিসংঘ ওই এলাকাকে অস্ত্র মুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার সাপ্তাহিক ভাষণে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘আমি আশা করি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং জাপোরিঝিয়ায় পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি এড়াতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত শাসন থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার বার্ষিকী বুধবার পালন করছে ইউক্রেন। একই দিন দেশটিতে রুশ আগ্রাসন শুরুর ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। এদিন এই যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ আখ্যা দেন পোপ ফ্রান্সিস। গত শনিবার মস্কোতে গাড়ি বোমা হামলায় রাশিয়ার প্রখ্যাত উগ্র জাতীয়তাবাদীর মেয়ে দারিয়া দাগিনাকে হত্যার প্রতি ইঙ্গিত করে পোপ বলেন, ‘নিরীহরা যুদ্ধের মূল্য দিচ্ছে, নিরীহরা’।

ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউক্রেনীয় এজেন্টদের দায়ী করেছে মস্কো। তবে কিয়েভ এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

যুদ্ধ থেকে লাভবান হওয়া অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ‘মানবতা হত্যাকারী অপরাধী’ আখ্যা দেন পোপ ফ্রান্সিস।

সূত্র: রয়টার্স