রণক্ষেত্র ছেড়ে ফ্রান্সে পালালেন রুশ প্যারাট্রুপার

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে অংশ নেওয়া এক রুশ প্যারাট্রুপার ফ্রান্সে পালিয়েছেন। পাভেল ফিলাতিয়েভ নামের এই রুশ সেনা রবিবার ফ্রান্স পৌঁছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। ৩৪ বছর বয়সী এই রুশ সেনা রাশিয়ার ৫৬তম এয়ারবর্ন রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে।

খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর দুই মাস খেরসন ও মাইকোলাইভে মোতায়েন ছিলেন ফিলাতিয়েভ। পরে চোখে সংক্রমণের জন্য রণক্ষেত্র থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

আগস্টে রুশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিকে-তে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করে তিনি ১৪১ পৃষ্ঠার একটি লেখা প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় ‘ফেক নিউজ’ ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় তিনি ফ্রান্সে পালিয়েছেন।

ফিলাতিয়েভ লিখেছেন, আরেকটি দেশে আক্রমণের নৈতিক অধিকার আমাদের নেই। বিশেষ করে যখন ওই দেশটি আমাদের ঘনিষ্ঠ। ইউক্রেনে আক্রমণের আগে থেকেই রুশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের ঘাটতি ছিল। বছরের পর বছর ধরে বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি বাহিনীটিকে অগ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

তিনি আরও লিখেছেন, শান্তিপূর্ণ সময়েই বিশৃঙ্খলায় থাকা বাহিনীটির দুর্নীতি ও অযোগ্যতা যুদ্ধের সময় আরও স্পষ্ট হয়েছে। কোনও পেশাদারিত্ব ছিল না।

ফিলাতিয়েভ দাবি করেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণে বেসামরিক ও বন্দিদের নিপীড়নে তিনি ও তার ইউনিট জড়িত ছিল না।

তার দাবি, ক্রিশিয়ার সেভাস্তোপোল শহরের একটি সামরিক হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তাকে হুমকি দেন, লড়াইয়ে না ফিরলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হবে।

আগস্টের শুরুর দিকে ফিলাতিয়েভ ক্রিমিয়া ছাড়েন এবং ভিকেতে তার যুদ্ধের জবানবন্দি প্রকাশ করেন। গ্রেফতার এড়াতে বেশ কয়েকটি শহর ঘুরে এই সপ্তাহে তিউনিসিয়া হয়ে ফ্রান্স পৌঁছান ফিলাতিয়েভ।

ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় পেলে ‘যুদ্ধের অবসানের জন্য’ কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।