মিত্র জার্মানির সমালোচনায় ইউক্রেন

অত্যাধুনিক ট্যাংক চেয়ে জার্মানির কাছে আবেদন করে ইউক্রেন। কিন্তু বার্লিন বিষয়টি উপেক্ষা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মিত্র দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তিনি। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক যুদ্ধের ট্যাংক দিতে সোমবার অস্বীকৃতি জানান জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেখট। কিয়েভের এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের কথা জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত কোনও দেশে পশ্চিমা নির্মিত লড়াইয়ের সামরিক যান বা যুদ্ধের ট্যাংক দেয়নি। আমরা মিত্রদের সঙ্গে একমত হয়েছি জার্মানি একতরফাভাবে এমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার কাছ থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরপর ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গতি বাড়াতে তিনি পশ্চিমা মিত্রদের আরও অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানান।

তারই প্রেক্ষিতে টুইট বার্তায় এ মন্তব্য করেন কুলেবা। তিনি বলেন, ‘জার্মানির ইঙ্গিত খুবই হতাশাজনক যে যখন দেশের মানুষকে মুক্ত করা এবং গণহত্যা বন্ধ করতে ইউক্রেনের প্রয়োজন লেপার্ড ট্যাংক ও মার্ডার পদাতিক যুদ্ধযান।’ 

তিনি কড়া ভাষায় আরও লিখেছেন, কেন এই অস্ত্রগুলো সরবরাহ করা যাবে না, তার কোনও যৌক্তিক যুক্তি নেই। এটা শুধু ভয় ও অজুহাত। বার্লিন কি ভয় পায় যেটা কিয়েভ পায় না?

জার্মানি ইউক্রেনে স্বচালিত ‘হাউইটজার’ অস্ত্র পাঠিয়েছে কিন্তু এটি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াকও জার্মানির তীব্র সমালোচনা করেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের কাছে কে ট্যাংক বিক্রি করবে, ছয় মাস ধরে মিত্ররা তা নিয়ে তর্ক করছে। রাজনৈতিক সমাধান' না থাকায় এ অবস্থা। এদিকে রাশিয়া তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে, সময় নষ্ট হচ্ছে। জার্মানি, আমরা অপেক্ষা করছি। আপনার উত্তরের জন্য।’

গত সপ্তাহের শেষের দিকে বার্লিনে কুলেবার সঙ্গে আলোচনায় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ ও মাস ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’