রানির শেষকৃত্যে যাদের আমন্ত্রণ জানায়নি ব্রিটেন

ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে বিভিন্ন দেশের কয়েকশ’ রাষ্ট্রপ্রধান, নেতা ও রাজপরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হবেন। সোমবার লন্ডনে রানির রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। এটিকে কয়েক দশকের মধ্যে বৃহত্তম কূটনৈতিক সমাবেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রায় ২ হাজার মানুষ ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবের। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৫০০ বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ও বিদেশি প্রতিনিধি এবং জীবনসঙ্গী শেষকৃত্যে হাজির হতে পারেন।

এছাড়া গত ছয় দশকের মধ্যে ব্রিটেনের প্রথম রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে থাকবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য, বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ও ব্রিটিশ রাজনীতিকরা।  

এতো রাষ্ট্রপ্রধান ও বিদেশি প্রতিনিধিরা উপস্থিত হবেন ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে। তবে বিশ্বের কয়েকটি দেশ ও সেগুলোর নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রানির শেষকৃত্যে।

বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের জন্য বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বদলে রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে ইরান, নিকারাগুয়া ও উত্তর কোরিয়া।

ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য রাশিয়া এবং রাশিয়াকে সহযোগিতার বেলারুশকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শেষকৃত্যে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়নি।

যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই জানিয়েছেন তিনি রানির শেষকৃত্যে যোগ দেবেন না।

বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী মুখপাত্র বলেছেন, কিন্তু রানির শেষকৃত্যে রাশিয়ার কোনও প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ না জানানো দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মৃতির অবমাননা এবং গভীরভাবে অনৈতিক।

লন্ডনে দূতাবাস রয়েছে রাশিয়া ও বেলারুশের। রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রতি দেশ দুটির প্রেসিডেন্ট রানির মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।

অপর যেসব দেশকে শেষকৃত্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সেগুলোর মধ্যে রয়েছে তালেবান শাসিত আফগানিস্তান, সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমার এবং সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা।

গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানের পর সাবেক উপনিবেশিক শাসক ব্রিটেনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।

সূত্র: এএফপি