পুতিন ও জেলেনস্কিকে ধন্যবাদ জানালেন এরদোয়ান

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বিনিময়কে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এ পদক্ষেপের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

যুদ্ধরত দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনে আঙ্কারা তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান এরদোয়ান।

নিউ ইয়র্কের তুর্কেভি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোয়ান বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বন্দি বিনিময়ের জন্য আমি পুতিন ও জেলেনস্কিকে ধন্যবাদ জানাই। এই অগ্রগতি আমাদের খুবই আনন্দিত করেছে।’

সৌদি আরব ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। দুই দেশের সাত মাসের যুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়ের ঘটনা। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া ২১৫ জন ইউক্রেনীয় বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে পাঁচ জন কমান্ডার রয়েছেন। বিনিময়ে ৫৫ জন রুশ নাগরিক এবং মস্কোপন্থী ইউক্রেনীয় ভিক্টর মেদভেদচুককে মুক্তি দিয়েছে কিয়েভ। মেদভেদচুক একটি নিষিদ্ধ রুশপন্থী দলের নেতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের মুখোমুখি।

বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় এরদোয়ানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য একটি বিজয়। ২১৫টি পরিবার তাদের ভালোবাসার প্রিয় মানুষগুলোকে দেখতে পাবে। নিখোঁজ অথবা প্রাণ হারানো প্রত্যেক ইউক্রেনীয় নাগরিককে আমরা স্মরণ করি। সবাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’

এরদোয়ান বলেন, এই বন্দি বিনিময়ের ঘটনায় তুরস্ক সংলাপ ও কূটনীতির শক্তিতে বিশ্বাসের ফল পেয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার বিরোধ নিরসনের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে জাতিসংঘের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।