ইস্তাম্বুলে বিস্ফোরণের নেপথ্যে পিকেকে নাকি আইএস?

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে রবিবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে আট জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৮১ জন। এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে এ ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) দায়ী করেছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু। তবে হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও এখনই উড়িয়ে দিতে চাইছেন না কর্মকর্তারা। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এক সিরীয় নারীসহ ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই নারীকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী বলেছেন, সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর দেশটির আফরিন অঞ্চল দিয়ে তিনি তুরস্কে প্রবেশ করেছেন।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন হলো, ভয়াবহ এই সন্ত্রাসী হামলার নির্দেশনাটি এসেছে উত্তর সিরিয়ার আইন আল-আরব (কোবানে) থেকে। সেখানে পিকেকে গোষ্ঠীর সদর দফতর রয়েছে।’ জঘন্য এই সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সম্পৃক্ততার বিষয়টি এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানান, গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনদের মধ্যে শহরের একটি ব্যস্ত সড়কে বিস্ফোরণ ঘটানো বোমাটি ফেলে যাওয়া ব্যক্তিও রয়েছে।