পুতিনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা নিয়ে যা বললেন ম্যার্কেল

জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার আগে কিছু একটা করতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের ক্ষমতার শেষ দিকে এসে প্রভাব কমে যাওয়া পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে যায়। এমনকি পুতিনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা ছিল না। জার্মান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন স্পিগেলকে এভাবেই নিজের কথাগুলো তুলে ধরেন ম্যার্কেল।

এ বিষয়ে বিবিসি ও ডিডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি ২০২১ সালের আগস্টে সবশেষ মস্কো সফর করেন। ২০২১ সালের গ্রীষ্মে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউরোপীয় সংলাপের আয়োজন করতে চেয়েছিলেন অ্যাঙ্গেলা। তবে তা ব্যর্থ হয় তুলে ধরে তিনি বলেন, রাশিয়া তার নীতিতে অটল ছিল।

ম্যাগাজিনকে সাক্ষাৎকারে বলেন, সেই সময় আমার অনুভূতি খুবই স্পষ্ট ছিল যে ক্ষমতার রাজনীতিতে আমার প্রভাব শেষ হয়ে গেছে।

স্পিগেলকে ম্যাগাজিনকে অ্যাঙ্গেলা আরও বলেন, আলোচনা সামনে টেনে নেওয়ার মতো আমার ক্ষমতা ছিল না। সত্যিই ছিল না, সবাই জানতো শরৎকালে সে (অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল) চলে যাবে। তিনি যোগ করেন, পুতিন শুধু ক্ষমতাকেই বিবেচনা করেন।

জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে টানা চার মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা ম্যার্কেল অফিস ছাড়েন গত ডিসেম্বরে।

ইউক্রেনের সীমান্তে কয়েক সপ্তাহের ব্যাপক সামরিক গঠনের আগে অনেকেই যুক্তি দাঁড় করিয়েছিলেন যে অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং অন্যান্য ইউক্রেনীয় নেতারা ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পন্থা অবলম্বন করা উচিত ছিল। এ নিয়ে তখন বিভিন্ন মহলে অনেক আলোচনাও হয়। ইউক্রেনে পুতিনের সামরিক অভিযানে বন্ধে জার্মানি শক্ত ভূমিকা রাখেনি বলে শোনা যায়।

সীমান্তে ব্যাপক সেনা জড়ো করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কিয়েভে হামলায় নামে পুতিনের বিশাল বাহিনী। ইউক্রেনে এখনও তাদের ধ্বংসযজ্ঞ হামলা চলছে। হামলার পরপরই মস্কোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কিয়েভকে মানবিক ও সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।