বিভিন্ন দেশে চীনের অনানুষ্ঠানিক ‘পুলিশ স্টেশন’, ইতালিতে সর্বোচ্চ

বিশ্বজুড়ে চীনের শতাধিক অনানুষ্ঠানিক পুলিশ স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ ইউরোপের দেশ ইতালিতে। স্পেনের নাগরিক অধিকারবিষয়ক সংস্থা সেফগার্ড ডিফেন্ডার্স জানিয়েছে, বিদেশে থাকা চীনের নাগরিকদের ওপর নজরদারিসহ বিভিন্ন কারণে দেশে ফেরাতে প্রয়োজন হলে পদক্ষেপ নেয়। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মিলানে দুটি আনঅফিসিয়াল পুলিশ স্টেশন পাওয়া গেছে চীনের। মাদ্রিদভিত্তিক সেফগার্ড ডিফেন্ডার্স গত সেপ্টেম্বরে এক প্রতিবেদনে জানায়, নেদার‍ল্যান্ডস, কানাডা, জার্মানিসহ এই ধরনের ৫৪টি এসব পুলিশ স্টেশনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ১১টি ইতালিতে।

ইতালিতে অবস্থিত চীনের পুলিশ স্টেশনগুলো হলো রোম, মিলান, বোলজানো, ভেনিস, ফ্লোরেন্স, পর্তো ও সিসিলিতে। যদিও এসব স্টেশনের বিষয়ে বেইজিং দাবি করেছে, বিদেশে অবস্থারত নিজ দেশের নাগরিকদের শুধুমাত্র সহায়তার জন্য সার্ভিস স্টেশন খোলা হয়েছে। এসব স্টেশনের মাধ্যমে পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করা হয়। অন্যদিকে নতুন শনাক্ত পুলিশ স্টেশনগুলো ক্রোয়েশিয়া, সাইবেরিয়া ও রোমানিয়ায়।

সেফগার্ড ডিফেন্ডার্স দাবি করেছে, স্টেশনগুলো সরাসরি বেইজিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়নি। তবে বেসরকারি পুলিশ স্টেশনগুলোর মাধ্যমে হয়রানি, হুমকি ও ভয় দেখানো হয়ে থাকে। পাশাপাশি  চীনে ফিরে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

সেফগার্ডের পরিচালক লরা হার্থ বলেন, গত এপ্রিলে জনসাধারণ তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, মাত্র এক বছরে ২ লাখ ১০ হাজার লোককে ফিরে আসতে রাজি করানো হয়েছিল।