ইউক্রেনকে লেপার্ড ট্যাংক নয়, ঐকমত্যে ব্যর্থ ন্যাটো

ইউক্রেনকে আরও উন্নত ট্যাংক ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তায় জার্মানির রামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ন্যাটো ও ৫০ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। তবে কিয়েভকে লোভনীয় জার্মান যুদ্ধ ট্যাংক ‘লেপার্ড’ সরবরাহের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, জার্মানি লেপার্ড ট্যাংক দিলে ইউরোপে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার ১১ মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনজুড়ে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।

শুক্রবারের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যই ইউক্রেনকে লেপার্ড-২ ট্যাংক দিতে জার্মানির ওপর চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু বৈঠক থেকে কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছাতে পারেনি কোনও পক্ষ। ট্যাংক সরবরাহে সম্মত না হওয়া এই সামরিক যান সরবরাহের বিষয়ে ন্যাটোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভাজনের ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে।

জার্মানির ‘লেপার্ড-২’ ট্যাংক সরবরাহে বার্লিন একতরফাভাবে বাঁধা দিচ্ছে, বিষয়টি অস্বীকার করে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, মিত্রদের মধ্যে ঐকমত্যে থাকলে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আছে তার দেশ।

তিনি আরও বলেন, ‘জেলনস্কির সরকারকে লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহের পক্ষে যেমন যৌক্তিক কারণ রয়েছে, তেমনি বিপক্ষেও রয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সব খুঁটিনাটি বিষয় সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।’ কিন্তু ট্যাংক না পাঠানোর পেছনে কী যৌক্তিক কারণ রয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি।

বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধে সবদিক বিবেচনায় জার্মানির তৈরি লেপার্ড ট্যাংক নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ট্যাংক ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হয়ে উঠতে পারে।

কিন্তু বার্লিনের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র এম১ আব্রামস ট্যাংক সরবরাহ না করা পর্যন্ত লেপার্ড ট্যাংক দেবে না জার্মান সরকার। এমনকি অন্য দেশের হাতে থাকা জার্মানির তৈরি এসব ট্যাংকও সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হবে না। এই ট্যাংক রফতানির সিদ্ধান্ত আটকে দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে জার্মানির। কিন্তু রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই ট্যাংক পাঠাতে বার্লিনের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। সূত্র: আল জাজিরা