ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র দেবে ‘আব্রামস’, জার্মানি দেবে ‘লেপার্ড-২’

ইউক্রেনে চলা যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাস্ত করতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার উন্নতপ্রযুক্তির ট্যাংক চেয়ে আসছিল কিয়েভ। অনেক নাটকীয়তার পর ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠাতে রাজি হয়েছে জার্মানি। এরপরই চমকে দেওয়ার মতো ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তারা জেলেনস্কির সরকারকে সহায়তায় ৩১টি শক্তিশালী ‘আব্রামস’ ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সব মিলিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় ঘুরে যেতে পরে বলে ধারণা করছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে পুতিন বাহিনী। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনে এই সময়ের অত্যাধুনিক লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠাতে জার্মানির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের দেন-দরবার কম হয়নি। দফায় দফায় আলোচনার পর অবশেষে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি লেপার্ড পাঠাতে রাজি হয়েছে বার্লিন। এমনকি ইউরোপের অন্যান্য যেসব দেশে এই ট্যাংক মজুত রয়েছে তা কীভাবে পাঠানো হবে, এ বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎজ।

সেনাদের সঙ্গে লেপার্ড-২ ট্যাংকের পাশে ওলফ শলৎজ

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনকে মোট ৩১টি এম-১ আব্রামস ট্যাংক দেবে ওয়াশিংটন। পুতিন আশা করেছিলেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মনোভাব দুর্বল করে তুলবে। আসলে তাদের এমন চিন্তা শুরু থেকেই ভুল এবং তারা একই ভুল করে চলছে।

আব্রামস ট্যাংক। ফাইল ছবি: এপি

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, আমরা ইউক্রেনকে এই ভয়াবহ যুদ্ধে ট্যাংকগুলো কার্যকরভাবে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও সরবরাহ করবো। এতে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে।

গত মাসেই ইউক্রেনে আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর বাস্তবতা নিয়ে সংশয়ের কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। তাদের উদ্বেগের বিষয় ছিল, ইউক্রেন কিভাবে উন্নত মানের এসব ট্যাংক রক্ষণাবেক্ষণ করবে। কেননা, এজন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও সার্ভিসিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।

আব্রামস ট্যাংক হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। এটি বিশ্বের আধুনিক ট্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম।

পশ্চিমা মিত্রদের এমন সহায়তা ইউক্রেনকে শত্রুমুক্ত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও গত মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেছিলেন, তার দেশকে রাশিয়ার মতো শত্রুকে পরাজিত করতে অন্তত ৩০০ ট্যাংকের প্রয়োজন।

কিন্তু এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে একে উসকানি এবং ইউক্রেনে যেকোনও সরবরাহ ট্যাংক ধ্বংস করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। সূত্র: বিবিসি