ইউক্রেনের একমাত্র সাবমেরিন কোথায়?

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র পেয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু দেশটির কাছে নেই কোনও সাবমেরিন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফোর্বস গত বছর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ১৯৯৭ সালে ইউক্রেনকে ফক্সট্রট ক্লাসের একটি সাবমেরিন দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর সেই সাবমেরিন ফেরত নিয়েছে তারা।

ডিফেন্স প্রায়োরিটিজ-এর গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি শাখার প্রধান রাজন মেনন বলছেন, এই সাবমেরিনটি শুরুর দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলীয় বহরে যুক্ত ছিল। সোভিয়েত যুগের শেষের দিকে এটিকে কৃষ্ণসাগরীয় বহরে যুক্ত করা হয়। আমার ধারণা ১৯৯৭ সালে এটি ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীকে দেওয়া হয়। এটির নামকরণ করা হয় জাপোরিজ্জিয়া। কারণ জাপোরিজ্জিয়া হলো একইসঙ্গে দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি শহর ও প্রদেশ।

রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলের আগে সাবমেরিনটির কিছু কারিগরি জটিলতা ছিল। ২০০৬ বা ২০০৭ সালে এটি আবার সচল হয়।

মেনন বলেন, রাশিয়ার যখন ক্রিমিয়া দখল করে তখন সাবমেরিনটিও নিয়ে যায়। ফলে ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর কাছে এখন আর কোনও সাবমেরিন নেই।

তিনি বলেছেন, চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের সাবমেরিন না থাকায় কিছু যায় আসে না। কারণ এটি একটি স্থলযুদ্ধ। ইউক্রেনের ড্রোন রয়েছে, তাদের আছে নেপচুন ও হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে আমি জানি না সাবমেরিন থাকাটা বড় কোনও বিষয় কিনা। যে কোনও বিচারে এটি বিতর্কের বিষয়। চাইলেই কেউ সাবমেরিন কিনতে পারবে না। যুদ্ধে সমুদ্র একটি পার্শ্বচিত্রে পরিণত হতে যাচ্ছে।

তবে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর মার্ক কানসিয়ান মনে করেন, ইউক্রেনের একটি কৃষ্ণ সাগরে বড় প্রভাব ফেলবে। মূল বিষয় কালপঞ্জি। ইউক্রেনকে একটি সাবমেরিন সরবরাহ ও ক্রুদের প্রশিক্ষিত করতে অন্তত এক বা দুই বছর লাগবে। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং অবশ্যই সাবমেরিন অপেক্ষাকৃত বিরল এবং খুব ব্যয় বহুল।

কানসিয়ান আরও বলছেন, যুদ্ধের পর ইউক্রেন যদি একটি সাবমেরিন পেতে চায় তিনি অবাক হবেন না।

অপরদিকে মেনন বলছেন, তখন সাবমেরিনের বদলে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থাকবে। একটি সাবমেরিন বহর তৈরির চেয়ে এসব ইস্যুত অগ্রাধিকার পাবে।

সূত্র: নিউজউইক