ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়া নিয়ে যা জানালেন ম্যাক্রোঁ

রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুদ্ধবিমান পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়ে আসছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু এখনও কোনও দেশ থেকে যুদ্ধ বিমান পাওয়ার আশ্বাস পাননি তিনি। এরমধ্যে ফ্রান্স জানিয়ে দিয়েছে, তারা এখনই ইউক্রেনে ফাইটার বিমান পাঠাবে না, কিন্তু অন্যান্য সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আসন্ন দিনগুলোতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বিমান পাঠাবে না প্যারিস। কারণ, ইউক্রেনীয় সেনারা ফরাসি যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে অপরিচিত এবং তাদের প্রশিক্ষণ দিতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এ অবস্থায় অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনীয় সামরিক জিনিসের দিকে মনোনিবেশ করছে দেশটি।

বুধবার লন্ডন সফর শেষে প্যারিস সফর করেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশটিতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার। ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান জেলেনস্কি।

জেলেনস্কির সফরের প্রসঙ্গে ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, আগামী সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধবিমান দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। সব কিছু মিলিয়ে এটা জটিল বিষয়। তবে আমি একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উপস্থিত থাকার সময় ইইউ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের শেষে শুক্রবার ভোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি। তবে মিত্রদের ভারী সামরিক অস্ত্রের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে, যেন ইউক্রেনের বিজয় শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হয়।

রুশ আক্রমণ মোকাবিলায় পশ্চিমাদের কাছে ট্যাংক, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান চেয়েছিল ইউক্রেন। এই তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে ট্যাংক। শিগগিরই মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেতে পারে ইউক্রেন। বাকি থাকবে যুদ্ধবিমান।

যুদ্ধবিমান কেমন প্রভাব ফেলবে?

এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে সরবরাহ করা অনেক অস্ত্রের মতোই এফ-১৬ কোনও ম্যাজিক বুলেট হবে না। দ্য হগ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর গবেষণা প্রধান টিম সুয়েইজিস বলেন, শুধু যুদ্ধবিমান গেম চেঞ্জিং হবে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু ট্যাংক, সেনা, হিমার্সের মতো দূরপাল্লার অস্ত্রের সঙ্গে এফ-১৬ সমন্বিতভাবে যুদ্ধের গতি ইউক্রেনের পক্ষে নিয়ে আসতে পারে।