বাখমুত গুরুত্বপূর্ণ, স্বীকার করলেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতকে এতদিন প্রতীকী অর্থে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করে আসছিল কিয়েভ। কিন্তু পরিস্থিতি এখন জটিল হয়ে ওঠায় এবার বাখমুতকে গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বীকার করলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সিএনএনে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি সতর্ক করে বলেন, রুশ সেনারা যদি বাখমুত নিয়ন্ত্রণ নেয়, তবে পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলো দখলের পথ খুলে যাবে তাদের। সুতরাং এটি আমাদের জন্য কৌশলগত একটি জায়গায়।

কিয়েভ থেকে সিএনএনের উলফ ব্লিটজারকে সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, বাখমুত দখল করতে পারলে তারা (রুশ বাহিনী) আরও এগিয়ে যাবে, বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি। তারা ক্রামতোয়ের্স্ক এবং স্লোভিয়ানস্কে ঢুকে পড়তে পারে। বিশেষ করে বাখমুতের পর ইউক্রেনের অন্যান্য শহর, ডনেস্কের দিকে পথ খুলে যাবে। সবদিক বিবেচনায় আমাদের ছেলেরা সেখানে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

প্রায় সাত মাস ধরে বাখমুত দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে আসছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ছোট শহরটি দখল করতে পারলে গত গ্রীষ্মের পর এটিই হবে রুশ বাহিনীর বড় সাফল্য। এতদিন ইউক্রেন বলে আসছিল, শহরটির কৌশলগত গুরুত্ব খুব বেশি না, কিন্তু এর প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে। তারা যতক্ষণ সম্ভব রুশ আক্রমণ ঠেকিয়ে শহরটি রক্ষা করে যাবে।

জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘রাশিয়া কী অজর্ন করতে চায় আমরা বুঝি। তাদের অন্তত কিছু জয়ের প্রয়োজন। একটি ছোট বিজয়।  বাখমুতের সবকিছু ধ্বংস করে হলেও। সেখানকার প্রতিটি বেসামরিককে হত্যা করে হলেও।’

গত কয়েক মাস ধরে বাখমুতে ভারী লড়াইয়ের কারণে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। অনেক ইউক্রেনীয় সেনা আহত হওয়ায় রণাঙ্গন থেকে ছিটকে গেছে। এ অবস্থায় বাখমুত নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু জেলেনস্কি বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তিনি কমান্ডারদের কাছ থেকে এমন কিছু শোনেননি।

জেলেনস্কির সাক্ষাৎ-এর পর ইউক্রেনের পূর্ব বাখমুত নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে রাশিয়ার সশস্ত্র ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার। বুধবার (৮ মার্চ) টেলিগ্রামে ভয়েস রেকর্ডিং-এ বার্তা পাঠিয়ে এমন দাবি করেন দলটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ওই বার্তায় তিনি বলেন, ‘ওয়াগনারের সামরিক ইউনিটগুলো পূর্ব অংশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বাখমুতকা নদীর পূর্বের সবকিছুই এখনও ওয়াগনারের নিয়ন্ত্রণে।’ যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি জেলেনস্কির প্রশাসন। 

সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা