যুক্তরাষ্ট্র চায় না ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হোক: রাশিয়া

রাশিয়া অভিযোগ করেছে ইউক্রেনে সংঘাত অবসানে সমঝোতা হতে দিচ্ছে না মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এমনকি লড়াইয়ের কর্মকাণ্ড একটু শিথিল হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই অভিযোগ করেছেন।

ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীন ভূমিকা পালন করতে পারবে কিনা প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, আমরা যা দেখছি তা একেবারে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট- লড়াইয়ের কর্মকাণ্ড মন্থর হওয়া ঠেকানোর লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান নীতি। ওয়াশিংটন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল উভয়েই প্রকাশ্যে ও আনুষ্ঠানিকভাবে এমনটি বলছে।

সোমবার ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তি প্রস্তাব নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য মস্কো পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই সফরের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেমলিন মুখপাত্রকে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবির একটি মন্তব্যের কথা তুলে ধরেছেন পেসকভ।  কিরবি বলেছিলেন, পুতিনের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্টের আসন্ন বৈঠকে ইউক্রেন নিয়ে সমঝোতার কোনও আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বিবেচনা করা অসম্ভব।

এই অবস্থানকে সংঘাতকে দীর্ঘায়িত ও বৃদ্ধির করতে ওয়াশিংটনের অভিপ্রায় হিসেবে ক্রেমলিন দেখছে কিনা এমন বিষয়ে পেসকভ বলেন, হ্যাঁ। যুক্তরাষ্ট্র নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তাদের লক্ষ্য হলো সংঘাতে উসকানি দেওয়া, লড়াইয়ের তীব্রতা কমানোর যেকোনও প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা এবং ইউক্রেনকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ জারি রাখা।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীন যুদ্ধের শুরু থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার দাবি করে আসছে। তবে রাশিয়াকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: তাস