পশ্চিমের সহায়তা না পেলে যুদ্ধ নয়: ভলোদিমির জেলেনস্কি

পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে কামান ও গোলাবারুদসহ সামরিক সহায়তা না পেলে ইউক্রেনীয় সেনাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাল্টা আক্রমণের জন্য মিত্র দেশগুলোর কাছে আবারও ট্যাংক, কামান ও গোলাবারুদসহ সামরিক সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

পশ্চিমা মিত্ররা সামরিক সহযোগিতা না পাঠালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করা সম্ভব হবে না সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় অংশের অবস্থা ভালো নয়। মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে গোলাবারুদ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।’  

এদিকে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার ভ্যালেরি জালুঝনি বলছেন ভিন্ন কথা। শনিবার (২৫ মার্চ) তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য বাখমুতের পরিস্থিতি এতদিন কঠিন থাকলেও, সেনাদের পাল্টা আক্রমণে বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে আসছে।’

পাল্টা আক্রমণের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এখনও শুরু করতে পারছি না। কামান, ট্যাঙ্ক ও গোলাবারুদ ছাড়া আমাদের সেনাদের যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দিতে পারি না।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, রুশ প্রতিপক্ষকে অস্বস্তিতে ফেলতে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী পাল্টা আক্রমণের কথা বলছে। এ ক্ষেত্রে কিয়েভ চায় রুশ বাহিনী নির্দিষ্ট করে ইউক্রেনীয় কোনও এলাকা দখল না করে যুদ্ধক্ষেত্রে পাল্টা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিক। অবশ্য কিছু কিছু বিশ্লেষকের মতে শীঘ্রই পাল্টা আক্রমণে যাবে কিয়েভ।

ইউক্রেনীয় উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হাননা মালিয়ার এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘সামরিক পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানোর অধিকার রয়েছে শুধু প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও শীর্ষ কমান্ডারের। বাকিরা শুধু তাদের উক্তি তুলে ধরতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশ্লেষকদের লেখালেখি বন্ধ করা উচিত । আমাদের সামরিক পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রকাশ্যে আলোচনা করা বন্ধ করুন।’ সূত্র: বিবিসি