ইউক্রেনে কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ লক্ষ্য অর্জনে এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি কোনও সহযোগিতা করবে না বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া। শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ার লক্ষ্য অর্জনের একমাত্র উপায় হলো অভিযান অব্যাহত রাখা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রুশ মিত্র বেলারুশের আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো শুক্রবার পূর্বশর্ত ছাড়াই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মস্কো ও কিয়েভকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এই আহ্বানের বিষয়ে ক্রেমলিন মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্টের মন্তব্য রাশিয়ার নজরে এসেছে। আগামী সপ্তাহে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
কিন্তু তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে লড়াই বন্ধ করলে ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য অর্জিত হবে না।
পেসকভ বলেন, ইউক্রেনে কিছুর পরিবর্তন হয়নি। বিশেষ সামরিক অভিযান চলমান রয়েছে কারণ এটিই হলো আমাদের লক্ষ্য অর্জনের একমাত্র উপায়।
তিনি বলেছেন, চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার একাংশ এই মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয় ইউক্রেন পক্ষের অনাগ্রহ বা তাদের অক্ষমতার কারণে। ইউক্রেনীয়রা তাদের ঊর্ধ্বতন ও কমান্ডারদের নির্দেশ মানছে না।
এই মন্তব্যে পেসকভ প্রমাণ ছাড়াই রাশিয়ার একটি দাবিকে ইঙ্গিত করেছেন। রাশিয়া বলেছিল, যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ার জন্য ইউক্রেনকে বলেছে তাদের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকরা।
পেসকভ বলেন, এই কমান্ডাররা কিয়েভে অবস্থান করছে না এবং তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে জোর দিচ্ছে।
রাশিয়া বলে আসছে তারা শান্তি চায়। কিন্তু একই সঙ্গে তারা স্পষ্ট করেছে তাদের শর্ত মেনেই আলোচনা হতে হবে। তাদের দাবি, কিয়েভকে অবশ্য রণক্ষেত্রের বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। আক্রমণের পর বর্তমানে ইউক্রেনের বিশাল ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেন বলে আসছে, শান্তি আলোচনার আগে রুশ সেনাদের ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছাড়তে হবে। যেকোনও সাময়িক যুদ্ধবিরিত রাশিয়াকে ভবিষ্যৎ সামরিক আক্রমণের প্রস্তুতির সুযোগ দেবে।
মস্কোর দাবি, জাতিসংঘ ও দেশটির মিত্ররা ইউক্রেনকে হাইব্রিড যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের লক্ষ্য রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করা। ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের দাবি, রাশিয়ার এই দাবি ভিত্তিহীন এবং আক্রমণের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার অজুহাত।