ইউক্রেনে বন্দি হওয়ায় চেচেন সেনাদের সমালোচনা করলেন কাদিরভ

ইউক্রেনে বন্দি হওয়ার পর মুক্তি পাওয়া চেচেন সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ। বন্দি হওয়া সেনাদের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, একজন চেচেন সেনার বন্দি হওয়া উচিত না। সোমবার মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এ খবর জানিয়েছে।

শনিবার পাঁচ চেচেন সেনা দক্ষিণাঞ্চলীয় রুশ প্রজাতন্ত্রের রাজধানী গ্রজনিতে পরিবার ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলিত হত। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে তাদের মুক্তি দিয়েছে কিয়েভ।

১৪ ডিসেম্বর ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন এই চেচেন সেনারা। চেচেন পার্লামেন্টের প্রধান মাগোমেদ দাউদভ বলেছেন, তাদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা গোপন রাখা হয়েছিল। যাতে শত্রুরা এই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে না পারে।

কিন্তু টেলিগ্রামে এক পোস্টে চেচেন নেতা কাদিরভ বলেছেন, মুক্তি পাওয়া সেনাদের স্বাগত জানানোর সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। একজন চেচেন যোদ্ধাদের অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে বন্দি হওয়া ছাড়া তার আর কোনও উপায় ছিল না।

রণক্ষেত্র থেকে না পালানো যোদ্ধাদের জন্য সম্মানের বিষয় উল্লেখ করে কাদিরভ লিখেছেন, রণক্ষেত্রে ফিরে আপনাদের বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণ করতে হবে আমরা শত্রুদের মোকাবিলায় ভীত নই এবং আমরা নিজেদের অস্ত্র আত্মসমর্পণের কোনও অজুহাত খুঁজছি না।

এক চেচেন যোদ্ধার উদাহরণ তুলে ধরেছেন কাদিরভ। কিরগিজ মুসিখানভ নামের এই যোদ্ধা রণক্ষেত্রে আহত হয়েছিলেন এবং ইউক্রেন তাকে বন্দি করে। মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়ে তিনি ইউক্রেনে মস্কোর হয়ে লড়াইরত আখমাত স্পেশাল ফোর্সে পুনরায় যোগ দিয়েছেন।

কাদিরভ লিখেছেন, অবশ্যই বন্দি হওয়া অপরাধ না এবং আমরা গর্বিত যে যোদ্ধারা বেঁচে আছে।

কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুগত চেচেন নেতা লিখেছেন, বন্দি হওয়ার আগে সেনারা যোগাযোগ করে বলেছিল তাদের গোলাবারুদ কম এবং তিনি তাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রতিটি গুলি ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। তাদের উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করতে না পারা আমার ব্যর্থতা। মুক্তি পাওয়া সেনাদের এখন নিজেদের প্রমাণের সুযোগ রয়েছে যে তাদের জোর করে বন্দি করা হয়েছিল।