পাল্টা আক্রমণের আগে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা বাড়লো ইউক্রেনের

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে জোরেশোরে আলোচনা হচ্ছে। শিগগিরই ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ চালাবে বলে কিয়েভের কর্মকর্তারা দাবি করে আসছেন। তবে করে এই পাল্টা আক্রমণ শুরু হবে তা সম্পর্কে নিশ্চিত করে ইউক্রেনীয় বা পশ্চিমারা কিছু বলছে না। ধারণা করা হচ্ছে, এমন সামরিক পদক্ষেপের জন্য ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম এখনও পায়নি। কিয়েভ বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে যুদ্ধবিমান পাওয়ার জন্য। ইতোমধ্যে ন্যাটো মিত্র স্লোভাকিয়া ইউক্রেনকে নিজের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের পুরো বহর দিয়েছে। খুব দ্রুত আরও যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে কয়েকটি দেশ।

সোমবার স্লোভাকিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, ইউক্রেনকে দুই দফায় ১৩টি রাশিয়া নির্মিত চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ দেওয়া হয়েছে। স্লোভাকিয়া সঠিক কাজ করেছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা এবং জনগণের জানমাল রক্ষায় এসব যুদ্ধবিমান গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে।

প্রথম ন্যাটো দেশ হিসেবে স্লোভাকিয়া ও পোল্যান্ড ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে। যদিও দীর্ঘ দিন ধরে পশ্চিমাদের কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছিল কিয়েভ। ন্যাটোর সদস্যরা ইউক্রেনকে পশ্চিমা নির্মিত অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দিতে রাজি হয়নি। যদিও মার্কিন নির্মিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।

মার্চ মাসে চারটি মিগ-২৯ ইউক্রেনকে দিয়েছিল স্লোভাকিয়া। এগুলো এখন ইউক্রেনে উড়ছে। অবশ্য এগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্লোভাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জারোস্লাভ নাদ এই মাসের শুরুতে নাশকতার আশঙ্কা করেছেন। স্লোভাক বিমানঘাঁটিতে ২০২২ সালের শেষ সময় পর্যন্ত এগুলোর কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্ব ছিল রুশরা। তারা হয়ত এগুলো লড়াইয়ের অনুপযুক্ত করে ফেলেছে। এসব যুদ্ধবিমান হয়ত উড়তে পারবে কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে এগুলো লড়াই করতে সক্ষম হবে।

নাদ বলেছেন, পুলিশ অবশ্য নাশকতার বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু রুশরা যেসব যন্ত্রাংশে কাজ করেছে সেগুলোতেই ত্রুটি ধরা পড়েছে। দ্বিতীয় দফায় পাঠানো যুদ্ধবিমানগুলো কঠোর নিরাপত্তায় পাঠানো হয়েছে।

সফল পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে চাইছে ইউক্রেন। এক্ষেত্রে পশ্চিমা অস্ত্রের সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে ন্যাটো নির্মিত কোনও যুদ্ধজাহাজ এই পাল্টা আক্রমণের সরবরাহ করা হবে না।

পোল্যান্ড চারটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। ইউক্রেনে আরও পাঁচটি যুদ্ধবিমান পাঠাতে গত সপ্তাহে জার্মানির কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে দেশটি। এই বহরটি আগে জার্মানির ছিল। 

ন্যাটোর যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হলে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। মার্চ মাসে ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেছিলেন, এমন সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো চলমান যুযদ্ধের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারবে না। কারণ রাশিয়া এগুলোকে ধ্বংস করবে।

সূত্র: নিউজউইক