রুশ ফ্রন্টলাইনকে ‘নরকে’ পরিণত করছে ইউক্রেন

হারানো বাখমুত শহর পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ফ্রন্টলাইনকে ‘নরকে’ পরিণত করেছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। পশ্চিমাদের কাছ থেকে যত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচ্ছে, রুশ বাহিনীর স্থাপনায় হামলা ততই বাড়ছে। গত মে মাস থেকে অস্থায়ীভাবে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বাখমুত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সেখানকার এক ইউক্রেনীয় কমান্ডার বলেন, গত সপ্তাহে ক্লিশচিভকার প্রধান গ্রামটি দখলে নেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত ইউক্রেনীয় সেনারা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫ মিলিমিটার হাউইটজারের ব্যাপক প্রশাংসা করেছে।

ইউনিট কমান্ডার ওলেক্সান্ডার বলেন, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী পোল্যান্ডের তৈরি ক্র্যাব বন্দুক ও মার্কিন ‘এম-১০৯’ স্ব-চালিত হাউইটজারসহ ভারী কামানের ওপর অনেকটা নির্ভর।

ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় বিপর্যস্ত রুশ বাহিনী, ছবি: রয়টার্স

রণাঙ্গনের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, একটি  বন্দুকও পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। আবার একটি বন্দুক দিয়ে হামলা বন্ধও করা যায়। আসল খেলাটা হচ্ছে লক্ষ্য ঠিক করা। রুশরা আমাদের সামরিক সরঞ্জাম একদমই সহ্য করতে পারছে না। আমরা তাদের নরকে ঠেলে দিয়েছি। তারা ভাবছে, আমাদের কাছে কত গোলাবারুদ মজুদ আছে।’

ক্লিসচিভকা এবং আন্দ্রিভকা কব্জায় নিয়ে বাখমুত পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনায় ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা। যা কয়েক মাসের যুদ্ধে সবচেয়ে ভারী লড়াইয়ের পর রুশ বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এদিকে ফ্রন্টলাইনে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং জ্যেষ্ঠ কর্তারা। সেই সঙ্গে পাল্টা আক্রমণের ধীরগতি নিয়ে পশ্চিমা নেতারা ঢালাও যে মন্তব্য করেছেন, তার সমালোচনাও করেন। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই পাল্টা আক্রমণকে ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন। সূত্র: রয়টার্স