ইইউ’র মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ‘প্রস্তুত’ আজারবাইজান

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যস্থতায় ব্রাসেলসে আর্মেনিয়ার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে প্রস্তুত আজারবাইজান। বৃহস্পতিবার আজেরি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিকমেত হাজিয়েভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ কথা বলেছেন। আর্মেনীয় প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ নাকচ করার এক দিন পর এই প্রস্তুত থাকার  কথা তিনি বলেছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

আজেরি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা বলেছেন, ইয়েরেভানের সঙ্গে দিপক্ষীয় আলোচনাসহ ব্রাসেলসে ত্রিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক শান্তি উদ্যোগকে সমর্থন করে বাকু। 

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সংঘাতে নিজেদের সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ। অঞ্চলটিতে প্রভাব থাকা রাশিয়া ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ নিয়ে মনোযোগী।

হাজিয়েভ বলেছেন,  প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ আর্মেনিয়ার সঙ্গে আলোচনায়  বসতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন বলে তুলে ধরা হবে ভুল। ককেশাস অঞ্চলে ফ্রান্সের সামরিকায়নের নীতি, অঞ্চলটির প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আচরণ এবং আজারবাইজানের মিত্র তুরস্কের অনুপস্থিতির কারণে বাকু বৈঠকটি বাদ দিতে  বাধ্য হয়।

আজারবাইজানের অভিযানের পর ইয়েরেভানের প্রতি সামরিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্যারিস। কিন্তু এর বিস্তারিত জানানো হয়নি।

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান বৃহস্পতিবার একে অপরের বিরুদ্ধে সীমান্তের অপর পাশে গোলাবর্ষণের অভিযোগ করেছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কারাবাখে আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস নির্মূল’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। কিন্তু রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ২৪ ঘণ্টার মাথায় আত্মসমর্পণ করে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। চুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয় তারা। এরপরই জাতিগত আর্মেনীয়রা আতঙ্কে অঞ্চলটি ছাড়তে শুরু করে। ধারণা করা হয়, এক-তৃতীয়াংশ বাসিন্দা অঞ্চলটি ছেড়ে চলে গেছে।