উড়োজাহাজের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়েছে: ইঙ্গিত পুতিনের

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, উড়োজাহাজের ভেতর থাকা গ্রেনেড বিস্ফোরণে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সোচিতে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। সেই বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার প্রধানসহ ১০ জন নিহত হন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

পুতিন বলেন, প্রিগোজিনকে বহনকারী বিমানটিকে ভেতর থেকে ধ্বংস করা হয়েছে। কোনও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, আগস্ট মাসে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শরীরে বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

সোচিতে পুতিন বলেছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের শরীরে হাতবোমার টুকরো অংশ পাওয়া গেছে। বিমানটিতে বাইরে থেকে আঘাত করা হয়নি। এটি সত্য। বিমানে কীভাবে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য দেননি পুতিন।

তবে তিনি বলেছেন, নিহতদের শরীরে মাদকের ঊপস্থিতির পরীক্ষা করা হয়নি। এটি তদন্তকারীদের ভুল ছিল। এই পরীক্ষা করা উচিত ছিল।

পুতিন দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার পরে সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনারের অফিস তল্লাশি করা হয়েছিল। সেখান থেকে নগদ ১০০ মিলিয়ন ডলার ও পাঁচ কেজি কোকেন পাওয়া যায়।

এ বছর ২৩ আগস্ট প্রিগোজিনকে বহনকারী বেসরকারি এয়ারলাইন এমব্রেয়ার-এর উড়োজাহাজটি মস্কো সেন্ট পিটার্সবার্গের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় মস্কোর উত্তরে বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিস্ফোরণে ১০জন আরোহী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন, ওয়াগনারের দুই শীর্ষ ব্যক্তি, প্রিগোজিনের চার দেহরক্ষী ও বাকি তিনজনের একজন ক্রু ছিলেন। রুশ প্রতিরক্ষা নেতৃত্বর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঠিক দুই মাস পর প্রিগোজিন এই দুর্ঘটনায় নিহত হন।