আভদিভকায় হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া: ইউক্রেন

পূর্ব ইউক্রেনের আভদিভকা শহরে বোমা হামলা আরও জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় শহরটির আশপাশের এলাকায় দু’পক্ষের সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা  রয়টার্স।

সোমবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘মস্কোর বিমানবাহিনী আভদিভকা শহরে বোমা হামলা জোরদার করছে এবং শহরটির সম্মুখভাগে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে স্থল বাহিনী।’

টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় পর ইউক্রেনে আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে তারা। এর মধ্যে আভদিভকা শহরে হামলা জোরদার করেছে দেশটি। এতে শহরটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘রুশ বাহিনী শহরের চারপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।’ তবে রাশিয়ার এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের সেনারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবি, ‘ইউক্রেনের সেনাবাহিনী শহরটির সম্মুখভাগের এক হাজার কিলোমিটারের (৬০০ মাইল) মধ্যে অবস্থিত অন্যান্য এলাকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করেছে।’

মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের নতুন চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথোপকথনের সময় ইউক্রেনের কমান্ডার ইন চিফ বলেন, ‘ইউক্রেনের পূর্ব এবং দক্ষিণে পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনের সেনারা ক্রমবর্ধমান সাফল্য লাভ করেছে।’

জাতীয় টেলিভিশনে ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র ওলেক্সান্ডার শুপুন বলেন, ‘যুদ্ধ এখনও চলছে। গত দুই দিনে দখলদাররা বিমান হামলার সংখ্যা বাড়িয়েছে। এসইউ-৩৫ বিমান থেকে গাইডেড বোমা ব্যবহার করে এ হামলা চালিয়েছে তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘শত্রুরা আরও বেশি সংখ্যক পদাতিক বাহিনী নিয়ে আসছে। তবে গত পরশুদিন তারা সাঁজোয়া যান মোতায়েনের চেষ্টা করলে দু’টি ট্যাঙ্ক এবং ১৪টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের সেনারা শহরটিতে আটটি হামলা প্রতিহত করেছে।’

টানা ২০ মাস ধরে চলমান এ যুদ্ধের শুরুতে কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পর থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দিকে মনোনিবেশ করেছে রাশিয়া। চলতি বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আভদিভকা শহর দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে তারা। এ শহরটি রাশিয়ার দখলে নেওয়া ডোনেস্ক শহর থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে অবস্থিত।

আভদিভকার সামরিক প্রশাসনের প্রধান ভিটালি বারাবাশ বলেন, ‘সহজভাবে বলতে গেলে, আভদিভকা শহরটি ভৌগোলিকভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ উচ্চতায় অবস্থিত এবং এর কৌশলগত অবস্থান এমন যে, সেখান থেকে ডোনেস্ক দেখা যায়। আর রুশ সেনাদের এটিই প্রয়োজন।’